অরুন নাথ: উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন সঙ্গীত বিদ্যাপীঠ সঙ্গীত পরিষদ, চট্টগ্রাম এর রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল ১৫ জন প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষার্থীদের নিয়ে দ্বিমাসিক রবীন্দ্র বৈঠক "রবি স্মরণ"।
সঙ্গীত পরিষদ, চট্টগ্রামের ইতিহাসে এটি প্রথম এমন কোন আয়োজন। এই অনুষ্ঠানে ১৫ জন শিক্ষার্থী একক রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গীত উপস্থাপনায় মানোন্নয়ন, মঞ্চভীতি দূরীকরণ, অনুষ্ঠান আয়োজনে দক্ষতাবৃদ্ধি, অনুষ্ঠান আচরণবিধিসহ নানামুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করাই ছিলো এই আয়োজনের মুল উদ্দেশ্য।
রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সঙ্গীত প্রশিক্ষক মনীষা রায়ের স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে আয়োজনের শুভ সূচনা ঘটে। এতে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত পরিষদের শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবক সহ আরো অনেকেই।
অনুষ্ঠানে প্রিয়ন্তী দাশ " বাদল বাউল", জয়ীতা বড়ুয়া: "আমি তারেই জানি" ঐন্দ্রিলা দাশ: "এবার তোর মরা গাঙে", অন্বেষা আচার্য্য: "এসো শ্যামল সুন্দর", পূর্ণিতা দে: "এই তো তোমার আলোকধেনু", তৃষা চৌধুরী: "আমার নাই বা হল", প্রাঙ্গন দত্ত: "মোর বীণা ঊঠে", অর্পিতা মজুমদার: "আমি মারের সাগর", দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য্য: "এসো নীপবনে", পৃথুলা চৌধুরী: "তোমার প্রেমে ধন্য", সীমান্ত দাশগুপ্ত: "প্রাণ চায় চক্ষু না চায়", অর্পিতা চক্রবর্তী: "কত অজানারে", পুষ্পিতা চক্রবর্তী: "সজনী সজনী", শ্রীপন্না দাশ: "প্রতিদিন আমি", আমন্ত্রিত প্রাক্তন শিক্ষার্থী অনন্যা বড়ুয়া: "জগতে আনন্দযজ্ঞে" এই গানগুলো পরিবেশন করেন।
আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত পরিষদের রবীন্দ্র বিভাগের প্রাক্তন প্রশিক্ষক উদীয়মান রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সঞ্জয় বনিক।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অভিভাবক এবং শিক্ষকমন্ডলীর কাছে এই আয়োজন বেশ প্রশংসনীয় হয়ে ওঠে। তাঁরা মন্তব্য করেন, "এমন আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠান আচরণবিধি রপ্ত করানো বর্তমান সময়ে খুবই জরুরী।
রবীন্দ্রসংগীত বিভাগ সেই কাজটি যথার্থভাবেই করে যাচ্ছে। আগামীতে এই আয়োজন আরো বড় পরিসরে হোক সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।" এই আয়োজনের সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের সঙ্গীত প্রশিক্ষক মনীষা রায় ও প্রিয়ম কৃষ্ণ দে। তবলা সহযোগিতা ও অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন তবলাশিল্পী প্রান্ত আচার্য্য।
প্রিয়ম কৃষ্ণ দে'র সঞ্চালনায় সঙ্গীত পরিষদের সম্পাদক তাপস হোড়'র সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে এই আয়োজনের ইতি টানা হয়।