চট্টবাণী: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের তেমুহনী এলাকায় সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। টেকনিক্যাল টিমের দেওয়া পরামর্শে যেখানে যেভাবে করতে বলবে সেভাবে করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের সংস্কার কাজ এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।রোববার (২০ আগস্ট) থেকে শুরু হয় সংস্কার কাজের।
দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইনের কাজ।রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছেন, তেমুহনী এলাকায় আরও ৩টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের আগে তা সম্ভব নয়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এটা তেমন উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষতি নয়। পানির স্রোতে মাত্র ২৫০ মিটার এলাকায় পাথর, কংকর ও কিছুটা মাটি সরে গেছে। ফলে কয়েকটি স্থানে লাইন কিছুটা দেবে গেছে। আর কয়েকটি স্থানে পাথর, কংকর সরে যাওয়ায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমরা দেবে যাওয়া লাইন জগ দিয়ে সামান্য উঠিয়ে বালি, কংকর ও পাথর বসিয়ে দিচ্ছি। মূলত এভাবেই সংস্কার করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। রেললাইনের দুই পাশের বিলে পানি থাকায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত অংশে গাড়ি যাওয়ার মতো রাস্তা না থাকায় মালামাল নিতে কষ্ট হচ্ছে। সংস্কার কাজ যথা সময়ে শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও হারবাং এলাকায় বাকি থাকা কাজও আগামী মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এসব কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষামূলক ভাবে রেল চলাচল শুরু হবে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন হবে। তবে এখনো পর্যন্ত তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।
মুজিবুর রহমান বলেন, তেমুহনী এলাকায় আরো ৩টি কালভার্ট হবে। তবে এগুলো এ মুহুর্তে করা সম্ভব নয়। কারণ যেখানে কালভার্ট করা হবে সেখানে এখন গাড়িতে করে মালামাল নেওয়া যাবে না। শুষ্ক মৌসুমে রেললাইনের পাশ দিয়ে বিকল্প লাইন করে দিয়ে এসব কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।