চট্টবাণী: আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়ক সংলগ্ন সব সড়কে নির্মাণ, সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
সোমবার (২১ আগস্ট) বর্ষার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চসিকের চলমান সড়ক সংস্কার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র।
রুবি সিমেন্ট সংলগ্ন খালের পাশে সম্ভাব্য সড়ক নির্মাণস্থল পরিদর্শনের পর বিমানবন্দর মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসমৃদ্ধ চত্বর নির্মাণের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন এবং ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশ দেন।
এ সময় মেয়র বলেন, উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা টানেল, বিমানবন্দর আর বন্দর ও ইপিজেডের বাণিজ্যিক সম্ভাবনার সর্বোচ্চ সুফল ঘরে তুলতে এ এলাকার সড়কের মান রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
পাশাপাশি বিমানবন্দর দিয়ে গমনাগমন করা মানুষের দৃষ্টিনন্দন ভ্রমণ নিশ্চিতে জোর দিচ্ছি আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল সৌন্দর্যবর্ধনে।
গুরুত্বপূর্ণ এ মোড়ের নির্মাণাধীন চত্বরে থাকছে ঐতিহ্যবাহী সাম্পানের ম্যুরাল। প্রায় ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দরের প্রবেশমুখে কর্ণফুলীর তীরে নির্মাণাধীন এ চত্বরে একটি জলাধার থাকবে। এর ওপর বসানো হবে সাম্পান। আর থাকবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। নদী থেকেও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি দেখা যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধূরী, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম প্রমুখ।
গত মার্চে বিমানবন্দর সড়ক ও ভিআইপি সড়ক দুটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণে সিটি মেয়র রেজাউলের করা প্রস্তাবে সায় দেয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। সল্টগোলা ক্রসিং থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত বিমানবন্দর সড়ক এবং বিমানবন্দরের প্রবেশমুখ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের মুখ পর্যন্ত ভিআইপি সড়ক দুটোর নাম হবে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়ক’। দুই সড়কের সংযোগস্থল বিমানবন্দর সড়কের মোড়ে বসছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল।