আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
শাহ মাহমুদ কুরেশি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ। শনিবার (১৯ আগস্ট) তাকে ইসলামাবাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পিটিআই। দলটির দাবি, দলের পক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন কুরেশি। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পর তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনটি ছিল আদালতে যাওয়া নিয়ে তার ঘোষণার ব্যাপারে। কুরেশি জানিয়েছিলেন, জাতীয় নির্বাচন বিলম্বের বিষয়টি নিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে (সাবেক নাম টুইটার) দেওয়া এক বিবৃতিতে পিটিআই বলেছে, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকে গ্রেপ্তারে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য ইসলামাবাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। ফের এ রাজনৈতিককে অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হলো।
জ্যেষ্ঠ নেতার গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন পিটিআই’র সাধারণ সম্পাদক ওমর আইয়ুব। তিনি বলেন, আমরা আশা করছিলাম ফ্যাসিবাদী সরকারের মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে এবং বে-আইনি রাজত্বের সমাপ্তি হবে। কিন্তু দেখতে পাচ্ছি তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের পূর্বসূরি ফ্যাসিবাদী সরকারের রেকর্ড ভাঙতে চায়। তারই ধারাবাহিকতায় কুরেশি তার বাড়িতে পৌঁছানোর পরপরই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলো।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে দলের ভেতর বিভক্তির খবর অস্বীকার করেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। একইসঙ্গে সাধারণ নির্বাচন বিলম্বের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনে ঘোষণাও দেন তিনি।
চলতি বছরের ১১ মে প্রথমবার গ্রেপ্তার হন শাহ মাহমুদ কুরেশি। তার বিরুদ্ধে গত ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভে উসকানির অভিযোগ ছিল। গত ৬ জুন লাহোর হাই কোর্টের রাওয়ালপিন্ডি বেঞ্চের নির্দেশে তাকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দেওয়া হয়।