বিশেষ প্রতিনিধি: মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গোলাগুলিতে ফোরকানুল ইসলাম (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চকরিয়া পৌর সদরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফোরকানুল ইসলাম চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল বারী পাড়ার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।
সংঘর্ষের ঘটনায় ওসি ও পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতরা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। একই সঙ্গে গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। ’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল ও চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার স্থান ঘোষণা করা হয়। প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় পৌর শহরের লামার চিরিংগা এলাকার মামা-ভাগিনার মাজারে কয়েক হাজার মানুষ গায়েবানা জানাজার জন্য জড়ো হন। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেখানে গেলে তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
জানাজা পণ্ড হলে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা মিছিল করেন। একই সময় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমের নেতৃত্বে মিছিল হয়। পৌর শহরের বাইতুশ শরফ রোডে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু মুছাকে ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গেলে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে তারা হামলা চালালে এ ঘটনা ঘটে।