চট্টবাণী ডেস্ক: প্রয়োজনের তাগিদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রেণুর জীবন ও কর্মভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘বঙ্গবন্ধুর রেণু’ এর লোগো ও ওয়েবসাইট উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন এবং সাংবাদিকরাও এ বিষয়ে কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রী আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অন্যান্য দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা সাইবার আইন কীভাবে আছে এবং নিরাপত্তা বিধান কীভাবে আছে দেখার জন্য। আমাদের আইনমন্ত্রী তা দেখে এই আইনটার কিছু কিছু অংশ পরিবর্তন করেছেন। যেমন জেল কমিয়ে জরিমানার অংশটা বাড়িয়েছেন। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমরা প্রয়োজনের তাগিদে এই জিনিসটা করেছি।
এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলার উন্নতির জন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছি। অনেকেরই আইনের প্রতি যেসমস্ত অবজারভেশনগুলো ছিল, সেগুলো মাথায় নিয়ে পরিবর্তন হয়েছে, এখানে আইনশৃঙ্খলার কোনো প্রশ্ন আসে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করণীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা সব সময় করে যাচ্ছে এবং করবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মোর্শেদুল ইসলাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রেণুর জীবন ও কর্মভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘বঙ্গবন্ধুর রেণু’-এর লোগো তৈরি করেছেন সনজীব দাস অপু ও ওয়েবসাইট নির্মাণ করেছেন দেবাশীষ বিশ্বাস পাভেল।
চলচ্চিত্রটির পরিচালক মারুফা আক্তার পপি বলেন, বঙ্গমাতার প্রখর দৃষ্টিভঙ্গি ও দৃঢ়তা আমাকে এত বেশি মুগ্ধ করেছে, তাই এই সিনেমা তৈরির পরিকল্পনা মাথায় এসেছে। টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু, তারপর জাতির পিতা হওয়ার পেছনের শিল্পী হচ্ছেন বঙ্গমাতা। এই বার্তাটা নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে দিতে চাই। বই পড়ে, ইতিহাস পড়ে, বঙ্গমাতার বড় মেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি, সেটা ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করব।