মো: আরিফুল ইসলাম : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম আমিন বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকেন। দেশে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন হয়। দেশ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেলের মতো বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়। দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স অবস্থান নেয় শেখ হাসিনা। আর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশ ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যম্পিয়ান হয়েছে। দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়। হাওয়া ভবনের মতো ছায়া সরকার বানিয়ে দেশকে দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করে।
তাই বিএনপি-জামায়াতের এসব দুর্নীতি ও অপকর্মে অতীষ্ট দেশের মানুষ আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী হিসিবে পেতে চায়।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় কলাউজান ইউনিয়নের বাংলাবাজারে একটি উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কলাউজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলামের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক শাহজাদা তৈয়বুল হক বেদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক ও উপ-দপ্তর সম্পাদক এম.এস মামুন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম আরো বলেন, আজকে কথায় কথায় গনতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলা হচ্ছে। মায়ানমারের ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে স্থান দিয়ে শেখ হাসিনা বিশ্বের দরবারে একজন মানবিক নেত্রী হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন এবং প্রশংসিত হয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশের অসহায় ও ভূমিহীন মানুষকে ৮ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন যা বিশ্বে মানবিকতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
জামায়াত-বিএনপি ক্ষমতায় আসলে লুটপাট করে দেশ ধ্বংস করে দিবে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন থেকে দেশে যেভাবে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জ্বালাও পোড়াও শুরু করেছে, আগামীতে যদি তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে তাহলে আগের মতো দেশটি লুটেপুটে খেয়ে ফেলবে। দেশ সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যদি শেখ হাসিনার অর্জন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি সমুহ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারি তাহলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। তাই দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হারুনুর রশিদ রাসু, নুরুল হক কন্ট্রাক্টর, নুরুল আবছার, লোহাগাড়া ইউনিয়ন সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক যায়েদ বিন কাসেম, সাতকানিয়া ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক এসএম আজিজ, জেলা তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি আলীম উদ্দিন, মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি আক্তার কামাল পারভেজ, তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সদস্য নাজমুল হাসান টিপু, আবছার উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক একেএম পারবেজ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিহান পারভেজ চৌধুরী ও সহ-সম্পাদক মিনহাজুল হক শিহাব প্রমুখ।
পরে তিনি কলাউজান ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।