চট্টবাণী ডেস্ক: বিএনপির সব নেতাই নির্বাচন করতে চান মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশগ্রহণ না করে তাহলে বহু ‘উকিল আব্দুস সাত্তার’ দলটি থেকে বেরিয়ে আসবে।
রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) আমন্ত্রণে সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের কিছু সদস্য অংশ নিতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা বলেছেন। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সব নেতাই নির্বাচন করতে চান। অথচ দলটি তাদের সদস্যদের ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর পদেও নির্বাচন করতে দিচ্ছে না। সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচনও করতে দিচ্ছে না। মানুষ যদি দলটিতে থেকে নির্বাচনই করতে না পারে...। তাদের সবাই নির্বাচন করতে চায়। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতে যার বহিঃপ্রকাশ দেখেছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা উকিল আব্দুস সাত্তারকে দেখেছি। এ রকম বহু উকিল আব্দুস সাত্তার আগামী নির্বাচনে বেরিয়ে আসবে।
এরআগে বিদেশি পর্যবেক্ষক দলের সদস্য টেরি এল ইসলে বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে গাইবান্ধায় একটি ঘটনায় নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন। সরকার জোরালোভাবে যার বিরোধিতা করেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সরকার ও ক্ষমতাসীন দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এবং তারা বিজয়ী হয়েছে। তারা সরকার কিংবা ক্ষমতাসীন দলকে ভয় পায় না। সরকারি দলের বিরোধিতার পরেও বেশ কয়েকটি ঘটনায় তারা বিজয়ী হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, অতীতের মতোই সরকারি যে কোনো পদক্ষেপ সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। আমি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান থেকে আমরা তিন প্রতিনিধি এসেছি। এই তিন দেশই বাংলাদেশের বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী। কাজেই বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাতে আমাদেরও স্বার্থ রয়েছে। আমরা সবাইকে নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করছি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আমাদের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছে। কিন্তু দলটির সদস্যদের সঙ্গে আমাদের বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আমাদের আভাস দিয়েছে। সরকারি দলের প্রতিনিধি বলেছেন, তারাও বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করছেন। তারা মনে করেন, সরকার ও পার্লামেন্টে দলটি তার বৈধ ভূমিকা রাখতে পারে।
টেরি ইসলে বলেন, বিএনপি যদি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না-ও করে, তবে দলটির অনেক সদস্য বলেছেন, তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন।
বিএনপির সেই সদস্য কারা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদের নাম বলতে পারবো না। আমরা গোপনীয়ভাবে অনেক কিছু করি, যা আপনারা বুঝতে পারবেন না।