খেলাধুলা ডেস্ক: প্রতিপক্ষের রান রাখা গিয়েছিল ধরাছোঁয়ার ভেতর। শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত, রান তাড়া মনে হচ্ছিল সহজ।
কিন্তু উদ্বোধনী জুটি ভাঙতেই একের পর এক উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যাটারদের দায়িত্বহীনতায় ম্যাচ হারতে হয়।
শুক্রবার কলম্বোয় ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ৫১ রানে হারিয়েছে ভারত ‘এ’ দল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২১১ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। জবাব দিতে নেমে ৩৪ ওভার ২ বল খেলে ১৬০ রানে সব উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় ভারত। অষ্টম ওভারে এসে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব। তার বলে ২৪ বলে ২১ রান করা সাই সুদর্শন উইকেটরক্ষক আকবর আলীর হাতে ক্যাচ দেন।
এরপর ৩৬ রানের জুটি গড়েন অভিষেক শর্মা ও নিকিন জোস। এই জুটির ভেতর বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়াররা। রাকিবুলের বলে নিকিন জোসকে স্টাম্পিং দেননি তৃতীয় আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদি। টিভি রিপ্লে দেখে অবশ্য মনে হয়েছে, আউট ছিলেন জোস। এরপর সাইফ হাসানের বলে একটি এলবিডব্লিউ থেকেও বেঁচে যান ভারতীয় ব্যাটার।
দলকে উইকেটও শেষ অবধি এনে দেন সাইফই। তার বলে মিড উইকেটে দাঁড়ানো জাকির হাসানের হাতে ক্যাচ দেন জোসে। এরপর ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিংয়ে। স্কোরকার্ডে একশ রান হওয়ার আগেই হারায় আরও দুই উইকেট।
৬৩ বল খেলে ৩৪ রান করে রাকিবুল হাসানের বলে ক্যাচ দেন অভিষেক শর্মা। এরপর ১৬ বলে ৫ রান করা নিষাদ সিন্ধুকেও ফেরান তিনি। ২৪ বলে ১২ রান করা রিয়ান পারাগকে বোল্ড করে উল্লাসে মাতেন তানজিম হাসান সাকিব।
এরপর দুই উইকেট নিয়ে ভারতের রান লম্বা না হওয়ার কাজটি সারেন শেখ মাহেদী হাসান। ৩ বলে ১ রান করা ধ্রুব জুরেলকে এলবিডব্লিউ ও ১৪ বলে ৯ রান করা হারশিত রানাকে ক্যাচ আউট করেন মাহেদী।
এরপর ভারতকে অনেকটা একাই টেনে নেন অধিনায়ক ইয়াশ দুল। রিপন মণ্ডলের করা শেষ ওভারে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮৫ বলে ৬৬ রান করেন তিনি। শেষদিকে ২৪ বলে ২১ রান করে মানব সুতার ও ১২ বলে ১৫ রান করেন রাজবর্ধন হাঙ্গার্গেকার। বাংলাদেশের পক্ষে দুই উইকেট করে নেন মাহেদী, তানজিম সাকিব ও রাকিবুল হাসান।
জবাব দিতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই চার বাউন্ডারি হাঁকান নাঈম শেখ। আট ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই বাংলাদেশের রান হয়ে যায় পঞ্চাশ। ৬ চারে ৪০ বলে ৩৮ রান করে মানব সুতারের বলে নাঈম শেখ আউট হলে ভাঙে ৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি। তার সঙ্গী তানজিদ হাসান তামিম তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।
টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ফিফটি পূরণ করে বেশিক্ষণ অবশ্য উইকেটে থাকতে পারেননি তামিম। ৮ চারে ৫৬ বলে ১ রান করে নিষাদ সিন্ধুর বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। ১১ বলে ৫ রান করে এলবিডব্লিউ হন তিনে নামা জাকির। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাটারদের সাজঘরে ফেরার মিছিল।
২৪ বলে ২২ রান করে সাইফ হাসান আউট হওয়ার পর দলের আশা হয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু নবম ব্যাটার হিসেবে সিন্ধুর বলে তিনি আউট হয়ে গেলে হার অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। ৪৬ বল খেলে ২০ রান করেন জয়। ৬৬ রানে নিজেদের শেষ আট উইকেট হারিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ।