চট্টবাণী ডেস্ক: ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রাকে ঘিরে পুলিশ-বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ১১ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন—ডিবিসি টিভির ফেনী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূইঁয়া, মোহনা টিভির ফেনী জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ নিলয়, দৈনিক মানব জমিনের ফেনী প্রতিনিধি নাজমুল হক শামীম, সময় টেলিভিশনের ভিডিও জার্নালিস্ট মীর হোসেন রাসেল, ডিবিসি টিভির ক্যামরাপার্সন দুলাল তালুকদার, দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক মুস্তাফিজ মুরাদ, সাপ্তাহিক ফেনীর তালাশের প্রতিবেদক এমএ আকাশ, বাংলাভিশন টিভির ক্যামরাপার্সন মামুন মিরাজুল, এটিএন নিউজের ক্যামরাপার্সন ও দৈনিক ফেনীর চিত্রগ্রাহক মোজাম্মেল হক লিংকন, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ক্যামরাপার্সন কামরুল ইসলাম।
সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধরা। এতে তারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রেসক্লাবে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে প্রেসক্লাবের দরজা জানালার কাচ ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়।
প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাকে ন্যক্কারজনক বলে অবিহিত করছেন জেলার প্রবীণ সাংবাদিকরা।
প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু তাহের বলেন, সাংবাদিকরা পেশাগত কাজে মাঠে কাজ করতে যায়। গণমাধ্যমের কর্মী এবং প্রেসক্লাবের ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। এটি মুক্ত সাংবাদিকতার ওপর আঘাত। আমরা এমন ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ফেনীর সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের কথা সাংবাদিকদের মাধ্যমেই জনগণের সামনে আসে। সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের ওপর হামলার ঘটনাটি অপরাজনীতিকে সামনে নিয়ে আসে। অবশ্যই এদের বিচার হতে হবে।