আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লাখো হাজির ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে আরাফাতের ময়দান। মঙ্গলবার (২৭ জুন) পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিতে আরাফাতে উপস্থিত হন লাখ লাখ হাজি। তাদের মধ্যে অনেকে একসঙ্গে মসজিদে নামিহরাতে ফজরের নামাজ আদায় করেন।
মসজিদ হারামাইন শরীফাইন (Haramain Sharifain) ফেসবুক পেইজে ও সৌদির টিভি চ্যানেলগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে হজের যাবতীয় কার্যক্রম। এছাড়া ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাচ্ছে পবিত্র হজ।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই বাসে করে আরাফাত ময়দানে উপস্থিত হওয়া শুরু করেন হাজিরা। এ সময় যানবাহনের দীর্ঘ সারি পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া অনেককে ফজর নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে নামিরাহতে উপস্থিত হতে দেখা যায়। দিনের আলো ফোটার পর অনেকে পায়ে হেঁটেও আসতে থাকেন।
আজ মসজিদে নামিরাহতেই হজের খুতবা পাঠ করবেন শেখ ডক্টর ইউসুফ বিন মোহাম্মদ বিন সাঈদ। এই মসজিদে যোহর এবং আসর নামাজেও ইমামতি করবেন তিনি। মাগরিবের নামাজ শেষে হাজিরা যাবেন মুজদালিফায় এবং সেখানে খোলা আকাশের নিচে রাত্রী যাপন করবেন।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতিহাসে এবারই (২০২৩ সালে) সবচেয়ে বেশি হাজির পদচারণায় মুখরিত হবে কাবা প্রাঙ্গণ।
রোববার (২৫ জুন) বিশ্বের ১৬০টি দেশ থেকে আসা লাখ লাখ হাজিদের কাবা প্রদক্ষিণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় হজ। ইতিহাসের সবচেড়ে বড় হজ হওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এ বছর, আমরা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হজ প্রত্যক্ষ করব।’
২০২০ সালের করোনা মহামারি হানা দেওয়ার পর— এবার প্রথমবারের মতো সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার একসঙ্গে হজ করছেন ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস জানিয়েছিল, ২০১২ সালে হজ করেছিলেন ৩১ লাখ ৬১ হাজার ৫৭৩ জন হাজি। যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হজ ছিল। এবার এ সংখ্যাটি পার হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে হজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ১০ হাজার মানুষ; ২০২১ সালে ৫৯ হাজার। আর গত বছর এ সংখ্যাটি ছিল ১০ লাখ।
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় হাজিরা মিনার দিকে যাবেন। যা কাবা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এরপর আরাফাত ময়দানে যাবেন তারা। শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এই আরাফাতের ময়দানেই তার সর্বশেষ ভাষণটি দিয়েছিলেন।
এমটিআই