চট্টবাণী: নগরের জামালখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও মুক্তিযুদ্ধের দেয়ালচিত্র ভাঙচুরের প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে অপরাজেয় বাংলা চট্টগ্রাম মহানগর।
শুক্রবার (১৬ জুন) বেলা ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ড. অনুপম সেন বলেন, বিশ্বনেতারা পরাশক্তি আমেরিকাকে নিয়ে কথা বলতে যেখানে সাহস করে না। সেখানে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাহস করে জাতিয় সংসদে বলছেন কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভুত্ব আমরা মেনে নেবনা।
আমরা স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশ ‘খাদ্য থাকলে আমাদের কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না’। আমরা অদম্য জাতি যেকোনো কিছুর বিনিময়ে আমরা মাথা উঁচু করে বিশ্বের বুকে দাঁড়াবই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করে বাঙালি জাতির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে। বাংলাদেশে জনগণ আগামী নির্বাচনে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে গণরায় দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে বিএনপিকে উচিত জবাব দেবে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি নুরুল আজিম রনি বলেন, জামালখানের ভাঙচুরের ঘটনাকে ভিন্নপথে নিতে বিএনপি একটি প্রেসরিলিজ দিয়েছেন। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই- আমরা চাইলে বিএনপি নেতাদের ঘরের একটি একটি করে ইট খুলে আনতে পারতাম। কিন্তু আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী। তাই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
মানববন্ধনে একাত্মতা জানিয়ে যুবলীগ নেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী বলেন, এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটলে এখন থেকে আর প্রতিবাদ প্রতিরোধ শান্তি মিছিল করব না; বিএনপি নেতাদের বাড়ি ঘরে সরাসরি হামলা করব।
যুবলীগ নেতা আকতার হোসেন সৌরভ বলেন, আমাদের বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা এখন কোন পক্ষে যাব। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপি এখন স্লোগান হচ্ছে “ট্যাক ব্যাক বাংলাদেশ” ট্যাক ব্যাক বাংলাদেশ মানে কি বিএনপির দশ ট্রাক অস্ত্র, সিরিজ বোমা হামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা?
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ডা. উজ্জ্বল কান্তি দাশ, অ্যাডভোকেট মিঠুন বিশ্বাস, আবদুল্লাহ আল তানিম, রকিবুল ইসলাম সেলিম, রেজাউল করিম রিপন, মেহেদী হাসান, ফয়সাল রফিক, আরাফাত ফয়সাল, কুতুব উদ্দিন, আমজাদ চৌধুরী, মো: আশিকুন্নবী, সৌমিত বড়ুয়া, সাইফুল ইসলাম মারুফ, জিএস আমিনুল করিম, মিজানুর রহমান মিজান, মাহমুদুল করিম, এম আর হৃদয়, শাহাজাদা চৌধুরী, মো. শাহেদ, আরিফ হোসেন, ইসমেইল হোসেন তারেক, মিজানুর রহমান রহিম, তানবীর মেহেদী মাসুদ, মায়মুন উদ্দিন মামুন, আনোয়ার পলাশ, হায়দার আলী সাদ্দাম, ঐশিক পাল জিতু, ইনজামাম ইমু, নোমান চৌধুরী রাকিন, আরাফাত হোসেন, জাহিদ হাসান সাইমুন, আবদুল্লাহ আল সায়মুন, হাসমত খান আতিফ, তানভীর হোসেন,জহিরুল ইসলাম, মুহাম্মদ হানিফ সুমন, সাজ্জাদুল ইসলাম সোহাগ, সাইদ বিন আবদুল্লাহ নাহিদ, শাকিল মাহামুদ, সাফায়েত ফাহিম, আবু হানিফ সৌরভ, যুবরাজ দাস, আরিফুল্লাহ ওয়াহেদী, শ্রমিকলীগ নেতা সোহেল মাহামুদ সেলু, মুহাম্মদ ফারুক ও মুহাম্মদ স্বপন।