চট্টবাণী ডেস্ক: আগের দিনে যেখানে এক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজনে জাতীয় গণমাধ্যম টেলিভিশনেও জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিতে হতো। সেখানে বর্তমানে কিন্তু কারো রক্তের প্রয়োজন হলে বেশিরভাগ সময়ই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই খুব দ্রুতই ব্যবস্থা হয়ে যায়।
রক্তদাতার পরিমাণ বাড়লেও কিছু সচেতনতা এখনো প্রয়োজন। জেনে নিন রক্তদান করতে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে-
• রক্তদান একটি সহজ ও সাধারণ বিষয় কিন্তু এর গুরুত্ব নিঃসন্দেহে অনেক বেশি
• রক্তদানের ফলে রক্তদাতার শারীরিক কোনো ক্ষতি হয় না
• রক্তদান নিয়ে আমাদের দেশে অনেকের মাঝে বেশ কিছু মিথ বা ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত থাকলেও বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি শারীরিক কোনো ক্ষতি করে না।
রক্তদানের ক্ষেত্রে
• রক্তের লোহিত কণিকার আয়ু ১২০ দিন। অর্থাৎ রক্ত না দিলেও ১২০ দিন পর লোহিত কণিকা আপনা আপনিই মরে যায়
• সুস্থ, সবল, নীরোগ একজন মানুষ প্রতি চার মাস অন্তর রক্ত দিতে পারেন
• রক্তদাতাকে শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে
• বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর
• রক্তদাতার ওজন কমপক্ষে ১১০ পাউন্ড হতে হবে
• রক্তচাপের দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। খুব বেশি বা খুব কম কোনটিই রক্তদানের ক্ষেত্রে সহায়ক নয়
• কোনো রোগের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে সেই দিনগুলোতে রক্তদান না করা
• নারীরা মাসিক চলাকালীন বা গর্ভাবস্থায় রক্তদান করতে পারবেন না
• হিমোগ্লোবিন কম থাকলেও রক্ত দেওয়া যাবে না।
রক্তদানের পর
• রক্তদানের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে হবে
• দুই গ্লাস পানি বা জুস খেলে রক্তের জলীয় অংশটুকু পূরণ হয়ে যায়
• স্বাভাবিক কাজকর্মেও কোনো বাধা নেই।
কারো রক্তের প্রয়োজন হলে বা নিজে রক্ত দিতে চাইলে সন্ধানী, বাঁধন, আই ব্লাড নেটওয়ার্ক ছাড়াও অনলাইনে বেশ কিছু ব্লাড ডোনার গ্রুপ রয়েছে যোগাযোগ করে নিন।