চট্টবাণী: অবৈধভাবে সরকারি সম্পত্তিতে ছাত্রশিবির দ্বারা পরিচালিত প্রবাহ কোচিং সেন্টারকে উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখলে নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বেলা ১১ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নগরের চকবাজার এলাকায় নবাব সিরাজুদ্দৌলার সড়কের পোস্ট অফিসের বিপরীতে অবস্থিত অর্পিত সম্পত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ টিম, চকবাজার থানা টিম, পিডিবি ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন অভিযানে সহায়তা করে।
জানা যায়, ইমামগঞ্জ মৌজার বিএস ১৯৩ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ৬২৯ নম্বর দাগের ৯ শতক পরিমাণ জায়গা 'আজিজুর রহমান ইসলামিক স্টুডেন্টস রিসার্চ ইনস্টিটিউট'কে লীজ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু সরেজমিনে লীজ গ্রহীতা লীজের শর্ত ভঙ্গ করে প্রবাহ কোচিং সেন্টার নামক একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে কোচিং ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা করে আসছিলো। পাশাপাশি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নামে আসবাবপত্রের দোকান বসানো হয়।
এর আগে লীজের শর্ত ভঙ্গের দায়ে অর্পিত লীজ বাতিল করা হয়েছিল। এর পরেও প্রায় ৮ বছরের বেশি সময় ধরে সরকারি এসব সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলে রেখে প্রবাহ কোচিং সেন্টার পরিচালিত হচ্ছিল। দশটি রুমে পরিচালিত হচ্ছিল জমজমাট কোচিং ব্যবসা।
অভিযানের শেষে কোচিং সেন্টারের সকল মালামাল অপসারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৫০ টি টেবিল-বেঞ্চ, ৮টি এসি, ২টি ফ্রিজ ও আলমিরাসহ কোচিং সেন্টার সংশ্লিষ্ট মালামাল প্রবাব কোচিং সেন্টারের হিসাব কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
প্রবাহ কোচিং সেন্টারের নথিপত্র ঘেঁটে পাওয়া যায় যে, সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা এলাকার হোসাইন আল হেশাম মো. জাবেদ নামের এক ব্যক্তি কোচিং সেন্টারের মূল মালিক।
ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে সরকারি সম্পত্তিতে পরিচালিত প্রবাহ কোচিং সেন্টার ও পাশাপাশি থাকা দরজা মেলা নামের একটা দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় আমরা প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যমানের ১০ দশমিক ৫৪ শতক সরকারি জমি উদ্ধার করি।
পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত সম্পত্তি জেলা প্রশাসনের ভিপি (অর্পিত) শাখার প্রতিনিধিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ৩০ মে বিকেলে একই থানা এলাকায় ৫ শতক সরকারি সম্পত্তির ওপর অবস্থিত জামায়াত ইসলাম পরিচালিত সংগঠন ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদের কার্যালয়টি উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন। এ সময় ওই সংগঠনের কার্যালয় থেকে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের প্রচুর বই, ব্যানার, চাঁদা রশিদ এবং বিপুল পরিমাণ সরকারবিরোধী পুস্তিকা জব্দ করা হয়েছিল।