চট্টবাণী: ধর্ম পালনের অধিকার যেমন সবার রয়েছে, তেমনি অন্যের ধর্মকেও কেউ যেন হেয় করতে না পারে। এটা কোন ধর্ম শিক্ষা দেয় না। আর নিজের ধর্মকে সম্মান করার সঙ্গে সঙ্গে অন্যের ধর্মকেও সম্মান করতে হয়, অন্য ধর্মকে হেয় করলে নিজের ধর্মকেই অসম্মান করা হয়। মানবধর্মকে সম্মান করাই প্রতিটি ধর্মের শিক্ষা।
রবিবার ৪ জুন জে.এম.সেন হলে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), নন্দনকানন, চট্টগ্রাম আয়োজিত শ্রীজগন্নাথদেবের বিশাল স্নানযাত্রার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও ধর্মীয় গোঁড়ামি প্রতিরোধে আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েছে। পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় নেতাদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্ব এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি।
শ্রীজগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার বর্ণিল উৎসবে মহান আশির্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত মায়াপুরের ইসকন নামহট্টের কো- রিজিওনাল সেক্রেটারী ও দীক্ষা গুরু শ্রীমৎ গৌরাঙ্গ প্রেম স্বামী মহারাজ।
নন্দনকানন শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির ও গৌর নিতাই আশ্রম’র অধ্যক্ষ শ্রীমান পন্ডিত গদাধর দাস ব্রহ্মচারী’র সভাপতিত্বে ও সুমন চৌধুরীর সঞ্চালনায় উদ্বোধক ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারী উদত ঝা
।
প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খিষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত। তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে যারা মুজিবকোট গায়ে চাপিয়ে সংখ্যালঘুদের জমি দখল করেছে আমরা তাদের ভোট দেবনা। ২০২১ সালের ঘটনার পরে যারা বিদেশে গিয়ে বলেছেন কিছু হয়নি আমরা তাদের ভোট দেব না।
চট্টগ্রাম নন্দনকানন ইসকনের সেক্রেটারী তারণ নিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারী স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিট্টন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার নোবেল চাকমা বিপিএম, বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, যুগ্ম সম্পাদক লায়ন তপন কান্তি দাশ, প্রকৌশলী আশুতোষ দাশ, কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, মহানগর পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, মহিলা কাউন্সিলর নিলু নাগ, মহিলা কাউন্সিলর রুমকী সেন গুপ্ত, নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের সিনিয়র সহসভাপতি অকিঞ্চন গৌর দাস ব্রহ্মচারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুন্দ ভক্তি দাস ব্রহ্মচারী, সুবল সখা দাস ব্রহ্মচারী, অপূর্ব মনোহর দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখ।
স্নানযাত্রায় বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন স্থান হতে হাজার হাজার ভক্ত নর-নারীগণ অংশ নেয়। স্নানযাত্রা উৎসবে জগন্নাথদেবের বিশেষ আরতি, সকলের অংশগ্রহণে স্নান, মধ্যাহ্নকালীন ভোগারতি, ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃিতক অনুষ্ঠান ও বৈদিক নাটক অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ যে আগামী ২০ জুন রথযাত্রা ও ২৮ জুন উল্টো রথযাত্রা মহোৎসব নন্দনকাননস্থ শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির ও শ্রীশ্রী গৌর নিতাই আশ্রমের সামনে ডিসি হিল প্রাঙ্গন হতে শুরু হবে।