চট্টবাণী ডেস্ক: এবারের বাজেট ধনী-গরিব সবার জন্যই উপকারি, মন্তব্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের। বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে শঙ্কা থাকলেও নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব নয়। রাজস্ব বাড়াতে এবার কর আহরণে বাড়তি মনোযোগ দেয়া হলেও এতে আইএমএফের পরামর্শের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট ঘোষণার ২৪ ঘন্টা পর বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অন্য মন্ত্রী- সচিবদের নিয়ে মঞ্চে হাজির হন অর্থমন্ত্রী।
শুক্রবার (২ জুন) প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতে শব্দ বিড়ম্বনায় পড়েন ‘স্মার্ট বাজেট’ দেয়া ডিজিটাল অর্থমন্ত্রী।
মাইক্রোফোন সমস্যা সমাধানে দৌঁড়ে যান অন্যরাও। একের পর এক চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে নিতে সক্ষম হন আহম মুস্তফা কামাল।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিগত বাজেটে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সফল হয়েছেন তিনি। এবারও ফেল করবেন না। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে শঙ্কা থাকলেও সেটা উতরে যাওয়া আশা তার।
সিংক- অর্থমন্ত্রী
মন্ত্রীর সাফ জবাব, কেউ সুযোগ না নেয়ায় পাচার করা অর্থ ফেরত এবং কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। তবে, টিনধারী সবার জন্য দু’হাজার টাকা কর ধার্য্য করলেও রাজস্ব বাড়াতে আইএমএফ’র শর্তের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি এমন দাবি তার।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ সরকারের আমলে আড়াই কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ সরকারের দেয়া সব বাজেট গরিববান্ধব বলেও দাবি করেন তিনি।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সব করদাতার জন্য দু’হাজার টাকার ন্যুনতম কর দেয়ার প্রশ্নে কথা বলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনর এবং এনবিআর চেয়ারম্যান।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ছয় কোটি জনগোষ্ঠির মাধ্যমে ৩/৪ বছরের মধ্যে দেশের ৭৫ ভাগ অর্থনীতি ক্যাশলেস সোসাইটিতে রূপান্তরের স্বপ্ন দেখছেন গভর্নর।