চট্টবাণী: নগরের লালদিঘীর পাড়ে জেলা পরিষদের মার্কেটের সামনে ১৪ দলের গণসমাবেশে দু'পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে।
বুধবার (৩১ মে) বিকেলে পৌনে পাঁচটার দিকে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয় বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমাদের সুন্দর সমাবেশ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।সমাবেশ চলবে।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আরমান হোসেন বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে । আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। সমাবেশ পুনরায় শুরু হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে দুইপক্ষই ইট পাটকেল ছোঁড়া শুরু করে। এ সময় কাউন্সিলর ওয়াসিম মাথায় সামান্য আঘাত পান। পরে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সমাবেশে বিশৃঙ্খলার বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বড় সংগঠনে পছন্দ-অপছন্দ থাকতে পারে। তাই বলে একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে জড়াতে পারি না। আমরা সবসময় এটা বলি। তবুও অনেকে উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে আসেন ও ষড়যন্ত্র করেন। মিছিল নিয়ে এসে বিশৃঙ্খলা করেন।
মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, মিটিংয়ে সবাই নেতার বক্তব্য শুনতে এসেছে, মারামারি দেখতে আসেনি। সমাবেশ মারামারি করার জায়গা নয়।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহম্মেদ ইমু বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে ছাত্রলীগের কোনো কর্মী আহত হয়নি। কেন মারামারি হয়েছে সেটা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।