নুরুল আবছার নূরী: ফটিকছড়িতে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক নিরোধন আইন ৪ ধারায় করা মামলায় স্বামী মোঃ বোরহান উদ্দিন কুসুম( ২৮) নামের এক ব্যক্তি মামলার হাজিরা দিতে গেলে নারীও শিশু নির্যাতন জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জেল হাজতে পাঠান।
২০১৮ সালে ফটিকছড়ি উপজেলা সুন্দরপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কান্দির পাড়া মোঃ আব্দুল মন্নানের মেয়ে মোছাম্মৎ রেশমা আকতারের সাথে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের শেখ নেয়াজ চৌধুরী বাড়ির মোঃহাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ বোরহানের সাথে সামাজিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের কয়েক মাস পর যৌতুক নিয়ে ঝগড়াঝাটি হতে থাকে।
প্রায় সময়ে স্ত্রী রেশমাকে মারধরসহ শারীরি মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। বিবাহের দিন যৌতুক হিসাবে একটি সি,এন,জি দিয়ে ছিলেন রেশমীর বাবা। তারপর ও বিভিন্ন সময় বাবার বাড়ি থেকে আরো যৌতুক আনার জন্য চাপদিতে থাকে এভাবে স্ত্রী রেশমার পিতা গরীব বলে নিরবে নির্যাতন মেনে নিত।
দীর্ঘ ৬বছর যাবত এভাবে নির্যাতন চলতে থাকে।এক পর্যায়ে ২বার পুলিশের সহযোগিতায় রেশমাকে তার পরিবার বাবা বাড়িতে নিয়ে আসে।গত২৫/৩/২১ সালে একবার, সর্বশেষ গত ৮/১/২৩ পুলিশ সহযোগিতায় উদ্ধার করে।
পরে গত ৫/২/২০২৩ দায়ের করা যৌতুক নিরোধি আইনের ৪ধারা স্ত্রী রেশমা দায়ের করা মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে গত ২৮ মে ২০২৩ আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের জুরিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেশমার স্বামী মোঃবোরহান উদ্দিন কুসুমকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।