চট্টবাণী: ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, অনেক পরিশ্রমের পর ভূমি মন্ত্রণালয়কে ইমেজ সংকটের জায়গা থেকে বের করে এনেছি। ভূমি উন্নয়ন কর, জমির নামজরিসহ সকল প্রকার ভূমিসেবা এখন অনলাইনে পাওয়া সম্ভব।এক কথায় ভূমি সেবা এখন হাতের মুঠোয়।
শনিবার (২৭ মে) সকালে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী ভূমি সেবা সপ্তাহের জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৪ এপ্রিল থেকে ম্যানুয়ালি জমির খাজনা আদায় বন্ধ করে দিয়েছি। ২০২০-২১ অর্থবছরে খাজনা আদায় হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৪ শত কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রায় ৬ শত ৪৯ কোটি টাকা। খাজনা আদায় সম্পূর্ণ অনলাইন হওয়ার পর এক মাসে খাজনা আদায় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ শত কোটি টাকা। আমরা যেভাবে কাজ করে যাচ্ছি আশা করছি বছরে ২ হাজার কোটি টাকা খাজনা আদায় করা যাবে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, আজ স্বাধীনতার প্রায় ৫২ বছর হতে চলছে। স্বাধীনতা পরবর্তী এবং আজ পর্যন্ত ব্যর্থতার পাশাপাশি আমাদের সফলতাও আছে। তবে জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের এই রূপ অনেক আগেই দেখার কথা ছিল।
বিএনপির শাসন আমলে বিশ্বে দেশকে লুটের দেশ হিসেবে পরিচিত করেছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতৃত্বেই বাংলাদেশ পরপর দুই বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। তারা হাওয়া ভবন সৃষ্টি করেছিলেন। আমি জানিনা এ বাংলার জনগণ কিভাবে উপকৃত হয়েছিল। তবে তারা বুঝতে পেরেছে এখন তাদের ক্ষমতায় আসা কঠিন হয়ে গেছে। কারণ দেশে আর একটা পদ্মা সেতু, টানেল কিংবা মেট্রোরেল তো হবে না। তারা জনগণকে কি বলবে?
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করেন।