চট্টবাণী: আপনারা ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বোঝান, বিএনপি-জামায়াত হাজার হাজার অপকর্মের খলনায়ক। তারা মানুষ হত্যা করেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে, সরকারি সম্পদ লুন্ঠন করেছে।এই চিত্রগুলো মানুষকে জানান দিন।
শুক্রবার (২৬ মে) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে এবং জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি, নাশকতা ও অরাজকতার বিরুদ্ধে রোববার (২৮ মে) বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক লালদিঘীর ময়দানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এই জনসভায় মিছিল ও ব্যানার-ফেস্টুন সহকারে যোগদানের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটকে নির্দেশনা দেন তিনি।
আ জ ম নাছির আরও বলেন, এখন থেকে প্রতিটি থানা, ওয়ার্ডে ও ইউনিটে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এলাকাবাসীকে নিয়ে নাশকতা ও অরাজকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ স্কোয়াড গড়ে তুলতে হবে এবং যেখানে অরাজকতা ও নাশকতা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা থেকে যায় সেখানে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে। তিনি সংগঠনের সাংগঠনিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করার জন্য দলের প্রতিটি স্তরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঐক্যের সেতুবন্ধন রচনা করার আহ্বান জানান।
বর্ধিত সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত মরণ কামড় দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের কাছে সাধারণ মানুষ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার কোনো মূল্য নাই। যারা জ্বালাও পোড়াও করে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করতে পারে, তাদের মানুষের প্রতি কোন মায়া মমতা থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগের শক্তির ভিত্তি এদেশের সাধারণ মানুষ। এই সাধারণ মানুষের জানমালের ওপর কোন আঘাত এলে আমরা জনগণকে সাথে নিয়েই পাল্টা আঘাত দিতে প্রস্তুত।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক সেটা বড় কথা নয়, আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন। রাজপথের লড়াই সংগ্রামের অভিজ্ঞতা আছে। জনগণের দুর্যোগ, দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের পাশে থেকেছে। তাই আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী জনবান্ধব।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।
আরও উপস্থিত ছিলেন মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, দিদারুল আলম চৌধুরী, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য আবুল মুনসুর, পেয়ার মোহাম্মদ, গাজী শফিউল আজিম, কামরুল আজম বুলু, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, জাফর আলম চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, ডা. নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমদ প্রমুখ। এছাড়া ১৫টি থানা, ৪৪ সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়করা উপস্থিত ছিলেন।