খেলাধুলা ডেস্ক: এশিয়া কাপ কোথায় হবে? আদৌ কি হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ২৮ মে আহমেদাবাদে অনুষ্ঠেয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনালে। যেখানে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করবে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা বিসিসিআই, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট (এসএলসি) ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।এই বৈঠকেই ভাগ্য নির্ধারণ হবে এশিয়া কাপের।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু ভারত সেখানে খেলতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাই বিকল্প খুঁজছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দিয়েছে। যেখানে আসরের ১৩ ম্যাচের ৪টি অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে, বাকি ম্যাচগুলো হবে বিকল্প ভেন্যুতে। কিন্তু এসিসি এখনো পর্যন্ত সেই প্রস্তাবে হ্যাঁ বা না কিছুই বলেনি।
অনেক তর্ক-বিতর্কের পর হাইব্রিড মডেল নিয়ে খুব একটা আশা করছে না পিসিবি। ভারত চায় শ্রীলঙ্কা বা সংযুক্ত আরব আমিরাত, কোনো এক দেশে এশিয়া কাপ হোক। ভারতের এই প্রস্তাবে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ রাজি হয়েছে বলেই জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম।
তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আইপিএলের ফাইনাল উপভোগ করতে ভারত যাবেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আজ (বৃহস্পতিবার) বিসিসিআই সচিব ও এসিসি সভাপতি জয় শাহ বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ ঠিক হয়নি। আমরা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত আছি। প্রতিযোগিতার ফাইনালে আমন্ত্রণ করা হয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানদের। ফাইনালের পরে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ঠিক করে নেব যে এশিয়া কাপ কোথায় হবে। ’
তবে সেই বৈঠকে জড়িত কর্মকর্তারা ইএসপিএনক্রিকইনফোকে নিশ্চিত করেছেন যে, পিসিবির সঙ্গে সমন্বয় করেই এশিয়া কাপের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এসিসি। এখনো পর্যন্ত এসিসির পরবর্তী বৈঠকের তারিখ ঠিক করা হয়নি।
সবকিছু ঠিক থাকলে, এশিয়া কাপে অংশ নেবে ছয়টি দল- শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও নেপাল। চার বছর পর এবারের আসরটি অনুষ্ঠিত হবে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য এটিকে প্রস্তুতির সেরা মঞ্চ হিসেবে দেখছে এশিয়ার দলগুলো।