• মহানগর

    আগুনে পোড়া প্রতিরোধে সর্বত্র জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে: সিভিল সার্জন

      প্রতিনিধি ২০ মে ২০২৩ , ১০:৩০:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হোসেন বাবলা: চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ হাউজিং এন্ড সেটেলমেন্ট পাবলিক স্কুলে আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচারাভিযান বিষয়ক স্কুল পর্যায়ের অবহিতকরণ সভা বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।




    স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াইনু মং মারমা ও ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ আবদুর রাজ্জাক।

    স্বাগত বক্তব্য রাখেন পায়াক্ট বাংলাদেশ’র পরিচালক মোঃ জিয়া উদ্দিন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর লাইফ স্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশনের পক্ষে পায়াক্ট বাংলাদেশ কর্তৃক এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

    অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক কার্যক্রমসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্যোগে অগ্নি নির্বাপক মহড়া প্রদর্শন করা হয়। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।




    অবহিতকরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। আগুনে পোড়া প্রতিরোধ করতে হলে সর্বত্র জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বাসা-বাড়িতে রান্না ঘরে অসতর্কতা, বজ্রপাত, সহিংসতামূলক এসিডে পোড়া, দুর্ঘটনাজনিত আগুন লাগা, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, মোবাইল ফোনে চার্জ দেয়া অবস্থায় কথা বলা ও কলকারখানায় বয়লার বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন কারণে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে থাকে। বর্তমান সরকার পোড়া রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আগুনে পোড়ার ঘটনা ঘটলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ক্ষতস্থানে কোন ক্রিম বা ওষুধ না লাগিয়ে সাথে সাথে হাসপাতালে চলে যেতে হবে। হাসপাতালে নেয়ার সময় শুকনো পরিস্কার কাপড়, গজ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে ক্ষতস্থান ঢেকে রাখতে হবে। বরফ, গরম বা ফ্রিজের পানি ব্যতীত স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ক্ষতস্থানে দেয়া যেতে পারে।




    তিনি বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের উজ্বল ভবিষ্যৎ। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের তাদের ভূমিকা অপরিসীম।

    শিক্ষার্থীরা সচেতন হলে ভবিষ্যতে আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা রোধ করা সম্ভব। এ জন্য স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্য বইতে আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রতিরোধে করণীয় বিষয়টি অর্ন্তভূক্তকরণ অত্যন্ত জরুরী।




    আরও খবর 25

    Sponsered content