নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসন থেকে উপ-নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেল ৪ টায় সংসদের স্পিকারের কক্ষে তিনি শপথ নেন। তাকে শপথ পড়ান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এর আগে, গত ২৭ এপ্রিল এই আসনের উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন নোমান আল মাহমুদ। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছিলেন ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৮৭ ভোট।
ঐদিন ২৭ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কেন্দ্র থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান নোমান আল মাহমুদকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম-৮ আসনটি শূন্য হয়। পরে এই আসনে হেভিওয়েটসহ ২৫ জন প্রার্থীকে টপকে মনোনয়ন পান নোমান আল মাহমুদ।
নোমান আল মাহমুদ প্রয়াত দুই এমপি মইনুদ্দিন খান বাদল ও মোছলেম উদ্দিন আহমদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বলয়ে রাজনীতি করেন বলে জনমুখে প্রচলিত আছে। তার নির্বাচনি প্রচারণায়ও তেমটা আভাস মিলেছে। দিন রাত নোমান আল মাহমুদের জন্য নগরে নগরে চষে বেড়িয়েছেন তিনি।
সাবেক ছাত্রনেতা ও যুবনেতা হিসেবে নোমান আল মাহমুদ অন্তত পাঁচ দশক ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। ১৯৭১-৭৩ সালে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ৭৪-৭৭ সালে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিতে শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হন। ৭৯ সালে যুবলীগে মহানগর কমিটির সদস্য হন।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের মোস্তফা মহসিন মন্টু ও ভুলু সরকারের কমিটির সময়কালে, ৮৭ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগর যুবলীগ সভাপতি ও পরবর্তীতে ’৯৪ সালে শেখ সেলিম-কাজী ইকবাল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ৯৭ সালে জাহাঙ্গীর কবির নানক-মির্জা আজম কমিটির সদস্য হন।
বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।