চট্টবাণী ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ধীরে ধীরে এটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
এর নাম হবে মোচা। আর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এটি গতিমুখ পরিবর্তন করে ধেয়ে আসতে পারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে।
ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী ড. আনন্দ কুমার দাশ জানিয়েছেন, সোমবার (৮ মে) এটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছাকাছি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এটি শক্তি সঞ্চয় করে মঙ্গলবার (৯ মে) নিম্নচাপে পরিণত হবে একই এলাকায়। এরপর আরও শক্তি সঞ্চয় করে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরের কাছাকাছি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এসে বুধবার (১০ মে) রূপ নেবে ঘূর্ণিঝড়ে।
ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে মোচা। এই নামটি দিয়েছে ইয়েমেন। কফি জন্য বিখ্যাত স্থানীয় একটি বন্দরের নাম মোখা। কালক্রমে সেখানকার কফির নামকরণও করা হয়েছে মোখা। ইংরেজিতে শব্দটি মোচা (Mocha) লেখা হলেও এর উচ্চারণ হচ্ছে Mokha।
আনন্দ কুমার দাশ জানিয়েছেন, মোখা প্রথমে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলেও পরে গতিমুখ পরিবর্তন করে বৃহস্পতিবারের পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলে দিকে ধেয়ে আসতে পারে। এই সময়ের মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। ১২ মে পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ ওঠে যাবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এ সময়ে ওই এলাকায় সাগর থাকবে প্রবল উত্তাল।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের উপ-পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. ছাদেকুল আলম এ বিষয়ে বলেন, মাত্র লঘুচাপ সৃষ্টি হলো। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে, সেই সময়ের মধ্যে অনেক গতিবিধি পরিবর্তন হবে। রোববার (৭ মে) গাণিতিক মডেলের যে পর্যবেক্ষণ ছিল, আজ কিছু পরিবর্তন এসেছে। মঙ্গলবার যেটা আসবে সেটাতেও পরিবর্তন আসতে পারে। যদি এটি এখন উত্তর-পশ্চিম দিকে যায়, তবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলে আসবে। আর যদি আরও উত্তর দিকে যাওয়ার পর গতিমুখ পরিবর্তন করে তবে বাংলাদেশে উপকূলে আসবে। এক্ষেত্রে আগামী ১৪ মে উপকূলে ওঠতে পারে।
লঘুচাপ সৃষ্টি হলেও এখন পর্যন্ত সমুদ্রবন্দরগুলোতে কোনো সতর্কতা জারির অবস্থা তৈরি হয়নি। মাছ ধরা নৌকা বা ট্রলারগুলোকেও কোনো সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়নি।