প্রতিনিধি ১ মে ২০২৩ , ১০:২১:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক: ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শ্রমিক-মালিক ঐক্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জনশক্তি বড় অংশ হচ্ছে কর্মক্ষম শ্রমশক্তি।
মালিক-শ্রমিকের সুসম্পর্ক, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণই পারে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র ভিত রচনা করতে’।
সোমবার (১ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে মহান মে দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ কথা বলেন। এ সভার আয়োজন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
স্পিকার বলেন, সমস্যা থাকতেই পারে আমাদের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। প্রতিক্ষেত্রেই এসব চ্যালেঞ্জিংয়ের উত্তরণ ঘটাতে হবে, সমস্যার সমাধান করতে হবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে। শ্রমিকদের বঞ্চিত করে শিল্পের উন্নয়ন হয় না। কারণ শ্রমিক হচ্ছে কারখানার প্রাণ। কাজেই মালিক-শ্রমিক একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করলেই কেবল দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে। শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণের অধিকার নিশ্চিতের মধ্য দিয়েই দেশে শিল্প-বাণিজ্যের অগ্রগতি নিশ্চিতের মধ্য দেশ সমৃদ্ধি হবে মহান মে দিবসে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, বন্ধু আজীবন শোষিত, বঞ্চিত, মেহনতী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। স্বাধীনতার পর মে দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় এবং বঙ্গবন্ধু মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন।
বঙ্গবন্ধু শ্রমিকদের ন্যায্যঅধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ২০২৪ সালে আমাদের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, তাই বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা লাগবে।
তিনি বলেন, আমরা পেছনে যেতে চাই না, আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যেতে। তাই আগামী নির্বাচন চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে, নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. এহছানে এলাহী বলেন, আমরা শ্রমিকদের অধিকারটা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমরা আইন ও বিধি সংস্কার করে একটি যুগোপযোগী বিধিমালা তৈরি করেছি। ৪২টি শিল্প সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন করেছি।
তিনি বলেন, ৬৪ জেলায় মে দিবসের র্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. এহছানে এলাহী, আইএলও কান্টি ডিরেক্টর তুমো পৌতিয়াইনেন, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী।
সবশেষে দুস্থ শ্রমিকদের মধ্যে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করা হয়।