মুহাম্মদ জুয়েল,বোয়ালখালী প্রতিনিধি : এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বোয়ালখালীর পর্যটন স্পট গুলো সেজেছে নবরূপে। উত্তর-পশ্চিমে শান্ত মেজাজে বয়ে গেছে কর্ণফুলী নদী, পূর্বে সবুজ অরণ্য কড়লডেঙ্গা আর জ্যৈষ্ঠপুরা, দক্ষিণে বিস্তীর্ণ সমভূমি। যদিও ঈদের প্রথম দিন পাহাড় বেষ্টিত এ উপজেলায় পর্যটকদের আনাগোনা কিছুটা কম থাকলেও ঈদের দ্বিতীয়- তৃতীয় দিন হতে দূরদুরান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম হয়েছে বোয়ালখালীর পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে।
চোখ জুড়ানো সবুজে ঘেরা পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথ এবং জলের ধারা রয়েছে কড়লডেঙ্গা ও জৈষ্ঠ্যপুরা পাহাড়ে।
পর্যটকদের ভ্রমনের তালিকায় প্রথম পছন্দের তালিকায় স্থান পাচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠা মুক্তিযোদ্ধা রিভার ভিউ, কড়লডেঙ্গা পাহাড়, জৈষ্ঠ্যপুরা পাহাড়, মেধস মুনির আশ্রম, বু-আলী কলন্দার শাহ আস্তানা সহ পর্যটন স্পট গুলো।
বিভিন্ন স্থান থেকে প্রকৃতি প্রেমীরা ছুটে আসছে সবুজ পাহাড়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে।পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ পাহাড়-পর্বত ছাড়াও নৌকা চড়ে নদীর ঢেউয়ে হাত বুলিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে ছুটে যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা রিভার ভিউতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা কড়লডেঙ্গা ও জৈষ্ঠ্যপুরা পাহাড়ে ছোট বড় গাড়ি সহ অসংখ্য মোটরসাইকেল করে ঘুরতে এসেছে পর্যটকরা। পর্যটকেরা প্রকৃতি এ অপরূপ দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করে রাখছে। আর এদিকে মুক্তিযোদ্ধা রিভার ভিউতে পর্যটকের উপচে পড়া ভীড়। কেউ নৌকা করে ঘুরছে নদীতে, কেউ আবার চটপটি, ফুসকা খাচ্ছে নদী পাড়ে গড়ে উঠা দোকানগুলোতে।
রাউজান থেকে আসা ইমদাদ জানান, খুব ভালো লাগছে। নদী-পাহাড় একসাথে দেখতে পেরে।
সীতাকুণ্ড থেকে আসা আদিলা রহমান জানান,‘পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধ আমি। এছাড়া পাহাড় বুকে আঁকাবাঁকা দৃষ্টি নন্দিত রাস্তা দেখে ভালো লাগলো।
কথা হয় মুক্তিযোদ্ধা রিভার ভিউতে গড়ে উঠা ঘরোয়া কার্ণিভালের পরিচালক শাহজাদা এস এম মিজানুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন,‘ ঈদের পরের দিন থেকে পর্যটকদের উপস্থিত চোখে পড়ার মত। ব্যস্ততায় দিন পার করছি।’
উপজেলায় পর্যটকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে পরিস্থিতি ঠিক রাখতে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এ ব্যাপারে ৮নং শ্রীপুর-খরণদ্বীপ-জৈষ্ঠ্যপুরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম জানান, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমনে নিজে তদারকি করছি। যাতে কোনো রকম সমস্যা সৃষ্টি না হয়।
পর্যটকদের আগমনে আবারো প্রাণচঞ্চলতা ফিরে এসেছে উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো।