চট্টবাণী: অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ লগ্নে ইসকন শ্রীশ্রী গৌর নিতাই আশ্রমে ইসকন নন্দনকাননের সহ সভাপতি শ্রীপাদ অকিষ্ণণ গৌর দাস ব্রহ্মচারীর আশির্বানীর মাধ্যমে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে শ্রীমদ্ভগবদগীতা দান ও মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয় এবং সেই সাথে মন্দির টিভি ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসবের কেক কাটা হয়।
মহান আশির্বাদক "শ্রীপাদ অকিঞ্চন গৌর দাস ব্রহ্মচারী" শিক্ষার্থীদের গীতাময় জীবন গঠনের উপর আলোকপাত করে বলেন যে, 'আমরা যদি পরমেশ্বর ভগবান কে সন্তুষ্ট করতে চাই তাহলে আমাদের তিন ব্রহ্মের আশ্রয় গ্রহন করতে হবে। তা হল ১। শব্দ ব্রহ্ম( বৈদিক শাস্ত্র - গীতা, ভাগবতম) ২। দারুব্রহ্ম (জগন্নাথ ) ৩। নাম ব্রহ্ম( হরিনাম) এর আশ্রয় গ্রহন করতে হবে। এই তিন ব্রহ্মের আশ্রয় নিয়ে দিনের শুভ সূচনা করি,তাহলে আমরা প্রতিটা ক্ষেত্রে জয় লাভ করবো। সকলে মাতাপিতাকে খুশি করতে হলে যেমন তাদের কথা শুনতে হবে ঠিক তেমনই পরমেশ্বর ভগবানকে খুশি করতে হলে ভগবানের কথা শুনতে হবে। আর সেই পরমেশ্বর ভগবানের কথা হচ্ছে "শ্রীমদ্ভগবদগীতা"
তাছাড়া, ইসকন প্রতিষ্ঠতা আচার্য শ্রীল এ.সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ কর্তৃক ১৩০টিরও বেশী ভাষায় সংকলিত “শ্রীমদ্ভগবদগীতা যথাযথ” এর গুরুত্ব এবং গীতা অধ্যয়নের গুরুত্ব সম্পর্কে উপস্থিত বক্তারা আলোচনা করেন।
তারা আরো বলেন যে, "মানব সমাজে ভগবদগীতার অনুশাসন পালন করে আমরা সুখী হতে পারি।"
উক্ত গীতা দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ইসকন নন্দনকাননস্থ শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির ও শ্রীশ্রী গৌর নিতাই আশ্রমের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রীমান মুকুন্দ ভক্তি দাস ব্রহ্মচারী।
প্রধান আলোচক স্বদেশ চক্রবত্তী, বিশেষ অতিথি শিপলু দে, অশোক চক্রবর্তী, বিপ্লব পার্থ, সাংবাদিক কাঞ্চন আচার্য, দেবব্রত জুয়েল, জুয়েল আইচ, বিশ্বজিৎ দাশ এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মন্দির মন্দির টিভির রিপোর্টার জয়া বল তপু।
আরো উপস্থিত ছিলেন মন্দির টিভির প্রতিনিধি ত্রিশুলা চৌধুরী, অস্মি দাশ, সাগর দে, ঈশান ভট্টাচার্য, প্বার্থ দাশ,হৃদয় দে, সুব্রত দাশ প্রমুখ।
সেই সাথে উক্ত অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে সহযোগিতায় ছিলেন সনাতন টিভি ও জেএইচপি টিভি।
এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা গীতাময় জীবন গঠনের সংকল্প গ্রহন করে। যাঁরা উক্ত অনুষ্ঠানে সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান করেছেন তাঁদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন পূর্বক প্রার্থনা করে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ইসকন সারা বাংলাদেশে সনাতনী শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর এ মহতী কাজে তাঁরা সমাজের সকলের সাহায্য ও সহযোগিতা নিয়ে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। যদি সমাজের বিবেকবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিরা এ আনন্দময় কার্যে যুক্ত হোন তাহলে এ প্রচার আরো বেগবান ও সাফল্যমন্ডিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।