চট্টবাণী : ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হলেও চট্টগ্রামে কমেনি ঈদের আমেজ। টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে আগের সূচিতে শুরু হয়েছে অফিস-আদালতের কার্যক্রম।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) থেকে দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অফিস করছেন। তবে বেসরকারি কিছু অফিস, ব্যক্তি মালিকানাধীন কল-কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে ১৯ এপ্রিল থেকে ছুটি ছিল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সেই ছুটি শেষ হয়েছে রোববার (২৩ এপ্রিল)। তবে এবার পবিত্র শবে কদরের ছুটির পর ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে ২০ এপ্রিল অফিস খোলা ছিল। ঈদের ছুটির সঙ্গে ২০ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে একদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এই একদিন বাড়তি ছুটিসহ টানা পাঁচ দিন ছুটি কাটাতে শহর ছেড়ে গ্রামে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে মিলিত হন কর্মব্যস্ত মানুষ।
এদিকে নগরের রাস্তাঘাট এখনও অনেকটাই ফাঁকা। অফিসের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় রোববারই নগরে ফিরেছেন অনেকে। সোমবার সকালেও রেলস্টেশন, বাস স্টেশন, নৌ-পথে দেখা গেছে নগরে ফেরা কর্মজীবীদের। নতুন ব্রিজ, বহদ্দারহাট, অলংকার, হাটহাজারী বাস স্টেশন, জিইসি মোড়, দামপাড়া, সিনেমা প্যালেস, অক্সিজেন মোড়, বিআরটিসিসহ প্রায় সবকটি বাস কাউন্টারে যাত্রী আগমনের ভিড় দেখা গেছে।
ছুটির পর প্রথম কার্যদিবস হওয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি প্রায় শতভাগ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিন সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সবাই। কয়েকটি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। বেশিরভাগ টেবিলেই উপস্থিত রয়েছেন কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও চলছে দাফতরিক কাজ। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগ দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বন্দরে ঈদের দিনও সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কনটেইনার স্থানান্তর, সংরক্ষণ, ডেলিভারি, কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংসহ সব অপারেশনাল কার্যক্রম চলেছে। এরপর থেকে পুরোদমে কাজ চলছে। উপস্থিতিও প্রায় স্বাভাবিক। ব্যাংকগুলোতে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় লেনদেন। তবে গ্রাহকদের ভিড় ছিল না।
চাকরিজীবীরা বলছেন, প্রথম দিনের অফিস হওয়ায় কাজের চাপ একটু কম। তবে দু’একদিনের মধ্যেই পুরোদমে কর্মব্যস্ত হয়ে উঠবে সব কর্মস্থল।