মো: আবদুল আল মামুন: পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ সরকারের “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান ও ভিশন ২০৪১” নিয়ে বিশেষ পোস্টার প্রদর্শনী করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে ‘সাম্প্রতিক বাংলাদেশ বিষয়াবলী’ কোর্সের অংশ হিসেবে এ পোস্টার প্রদর্শনী করে উক্ত বিভাগের ২৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
পোস্টারে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের বিভিন্ন দিক ও সরকারের বিভিন্ন শ্লোগান তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা। এসময় স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রত্যাশা, বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশ কতটুকু তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য রাখে। শিক্ষার্থীরা কেউ সাদা আবার কেউ বাহারী রঙিন পোস্টার পেপার ব্যবহার করে সরকারের আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে সে বিষয়ে রঙ, পেন্সিল, সাইন পেনের মাধ্যমে তাদের পোস্টারে স্মার্ট বাংলাদেশকে ফুটিয়ে তোলে।
এ প্রসঙ্গে কোর্সের শিক্ষক ও সিনিয়র লেকচারার প্রশান্ত কুমার শীল বলেন, বাংলাদেশ সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশ ধীরে ধীরে স্মার্টে রূপ নিচ্ছে। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে দেশের তরুণ প্রজন্ম। আমাদের শিক্ষার্থীরা পোস্টার প্রদর্শনীর মাধ্যমে জানতে পারছে স্মার্ট বাংলাদেশ কি এবং এর গঠন কিভাবে হবে সেই সাথে শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরতে পারছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদেরও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এসব পোস্টার প্রদর্শনী কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।
এ প্রসঙ্গে ২৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রবিন দাশ গুপ্ত বলেন, একসময় আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা শুনতাম যা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। সৌভাগ্যের বিষয়, স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন সেটা বাস্তবায়ন করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম আমাদের তরুণ প্রজন্ম। বিশ্বের দ্রæত উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম যেভাবে জ্বলজ্বল করছে তাতে স্মার্ট বাংলাদেশ কেবল সময়ের অপেক্ষা। আমরা আমাদের পোস্টারে এসকল বর্ণনা তুলে ধরেছি।
আরেক শিক্ষার্থী সোলাইমান হোসেন রনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের পর এবার নতুন মিশন “স্মার্ট বাংলাদেশ”। “স্মার্ট বাংলাদেশ” বলতে স্মার্ট নাগরিক, সমাজ, অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার গড়ে তোলা হবে। তরুণরাই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে। আমাদের পোস্টারে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে সেটি তুলে ধরেছি।
আরেক শিক্ষার্থী নিগার সুলতানা সনি বলেন, এ ধরনের পোস্টার প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে সেটি যেমন জানতে পারছি তেমনি আমাদের ভাবনা তুলে ধরতে পেরেছি। তারুণ্যই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের ক্ষেত্রে মূল শক্তি।
পূজা ঘোষ বলেন, এ ধরনের পোস্টার প্রদর্শনী তরুণ প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের ক্ষেত্রে আরো গতিশীল করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের এই সুদূর যাত্রায় বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নাম লিখিয়েছে এবং আরও উন্নীত হবে এই প্রত্যাশা। আমাদের ও স্মার্ট হয়ে উঠতে হবে৷
পরে শিক্ষার্থীদের নির্মিত পোস্টার দিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র তৈরি করা হয়।