মু: হোসেন বাবলা: নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামস্থ কাজীর দেউড়ি আউটার স্টেডিয়াম এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
১৯মার্চ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুয়ে মং মারমা।
এসময় আউটার স্টেডিয়ামের পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
নুয়ে মং মারমা বলেন, “চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠ এটি। এ মাঠ রক্ষায় আমাদের অভিযান চলছে। এই মাঠের আশ-পাশে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করে খেলার জন্য এ মাঠ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।”
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও সিজেকেএস সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, “আউটার স্টেডিয়ামের যে মাঠ রয়েছে সেটি আমরা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করেছি। মাঠের যে অংশটুকু রয়েছে সেটি লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করার পর লাল খুঁটিও দিয়েছি। মাঠের ভেতরে যদি কোনো স্থাপনা থাকে সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। একটি যুক্তিসংগত সময়ও দিয়েছিলাম। সেই সময়ের মধ্যে স্থাপনাগুলো সরায়নি। আজ আমরা অ্যাকশনে গিয়েছি। চট্টগ্রামে ১৫টি উপজেলায় ১৯১টি ইউনিয়ন রয়েছে। এক বছরের মধ্যে ১৯১টি খেলার মাঠ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদের ২/১পর ক্ষতিগ্রস্তদের একটি অংশ মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অপেক্ষা করে উচ্ছেদ করা হয় বলে অভিযোগ করে দোকানীরা একটি ব্যানার,ফেষ্টুন টাংগিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।
প্রতিবাদকারীরা উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, সিজেকেএস নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দর কাছ থেকে বৈধভাবে লিজ বা ভাড়া ভিত্তিতে দোকান নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানোর পরও কেন আজ আমাদের উচ্ছেদে পড়লাম আর কেনই বা অবৈধ স্থাপনা বলে বুলডোজার চালিয়ে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত দোকান ভাঙচুর করে গুড়িয়ে দিয়েছে তা জানতে পারিনি। তবে আমরা উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসন কে অবশ্যই অবগত করবো।