মুজিবুল্লাহ আহাদ: একই সাথে বিনা পয়সায় বছরের প্রথম দিন নতুন বই দেয়া হয়। এই করোনার সময় বিনা পয়সায় টিকা দেয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ঔষধ ফ্রি দেয়া হচ্ছে। এই ধরণের ভাতা এবং সাহায্য এগুলো আগে কখনো ছিলো না। আগে তো খালেদা জিয়াও ছিলেন, এরশাদও ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ছিলো। তারা তো এসব করেনি। এগুলো আওয়ামীলীগের সরকার, শেখ হাসিনার সরকার এবং নৌকা মার্কার সরকার করেছে।'
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে পৌর কার্যালয় প্রাঙ্গণে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার আয়োজনে উপকারভোগী সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
তিনি বলেন বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষকে ২২ প্রকারের ভাতা দিচ্ছে। ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে চাল, এক কোটি ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে ৫ কোটি মানুষকে স্বল্পমূল্যে পণ্য, ৫০ লাখ ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে চাল, ঈদ, কোরবান এবং পূজায় বিনাপয়সায় চাল দেয়া হয়।'
আরো বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানে দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলে এখন বিশ্বের যেকোন প্রান্তে বসে দেখে দেখে কথা বলা যায়। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, প্রত্যেক ঘরে ঘরে টেলিভিশন, ফ্রিজ, আবার অনেকের ঘরে এসি। ১৪ বছর আগে এসব ছিলো না। তখন মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ থাকলেও মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ আসতো। আর এখন বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে মাঝে মধ্যে যায়। এটাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের চিত্র।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'করোনার সময়সহ বড় কোন দুর্যোগে বিএনপি নেতৃবৃন্দদের দেখা যায় না, তাদের পাওয়াও যায় না। দুর্যোগের সময় আওয়ামী লীগ সরকার, আমাদের দলের নেতৃবৃন্দরা মানুষের পাশে থাকে। অথচ ভোট আসলে বিএনপির নেতারা সুন্দর সুন্দর জামা-কাপড় পড়ে আপনাদের কাছে আসবে, বড় বড় কথা বলবে। এবার ভোটের সময় তাঁরা আসলে বলবেন, আওয়ামীলীগ সরকার যে রাস্তাঘাট করেছে, তার গর্তগুলো ভরাট করার ক্ষমতা আছে কি না।'
নিজ নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আগে রাঙ্গুনিয়ার মানুষকে নানা আশ্বাস দিয়ে দিয়ে ঠকানো হতো। রাঙ্গুনিয়া থেকে বরাদ্দ কেটে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হতো। আর এখন আমি অন্য জায়গা থেকে বরাদ্দ কেটে রাঙ্গুনিয়ায় নিয়ে আসি। বর্তমান রাঙ্গুনিয়া উন্নয়নে পাল্টে গেছে। গত ১৪ বছর আমি কে কোন দলের তা কখনো দেখিনি। সবার জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি। সামনে নির্বাচন, আশা করি আপনারাও আমার জন্য আপনাদের দরজাটি খোলা রাখবেন।”
রাঙ্গুনিয়া পৌর মেয়র আলহাজ্ব শাহাজাহান শিকদারের সভাপতিত্ব ও পৌর কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন শাহ’র যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, সদস্য ইদ্রিছ আজগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, উত্তরজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, উত্তরজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য আকতার হোসেন খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) চট্টগ্রাম অফিসের স্টাফ রিপোর্টার জিগারুল ইসলাম জিগার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর তারেকুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।