চট্টবাণী : খেলার মাঠে কোনও মেলা হবে না। চট্টগ্রামের মাঠগুলো উদ্ধার করা হবে। তৈরি করা হবে নতুন মাঠ। চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুরে আমাদের যে জায়গা রয়েছে সেখানেই সব মেলার আয়োজন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে নগরের আউটার স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও সিজেকেএস সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
তিনি আরও বলেন, আউটার স্টেডিয়ামের যে মাঠ রয়েছে সেটি আমরা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করেছি। মাঠের যে অংশটুকু রয়েছে সেটি লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। আমরা সেখানে লাল খুঁটি দিয়ে দিবো। মাঠের ভেতরে যদি কোনও স্থাপনা থাকে সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। একটি যুক্তিসংগত সময় দেওয়া হবে। ওই সময়ের মধ্যে স্থাপনাগুলো সরাতে হবে। অন্যথায় আমরা অ্যাকশনে যাবো।
তিনি বলেন, মাঠের মধ্যে যেসব স্থাপনা থাকবে সবগুলোই অপসারণ করা হবে। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ১৯১টি ইউনিয়ন রয়েছে। ১ বছরের মধ্যে ১৯১টি খেলার মাঠ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি হবে। শুধু ক্রিকেট নয়, সব খেলায় গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। চট্টগ্রামের খেলার মাঠ দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পলোগ্রাউন্ড মাঠ নিয়ে কাজ করছি, সারা বছর যাতে খেলোয়াড়রা প্রশিক্ষণ নিতে পারে। আউটার স্টেডিয়ামের সীমানা নির্ধারণ করে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হবে। এরপর সীমানা প্রাচীর দেওয়া হবে। ওয়াকওয়ের সিস্টেম থাকবে, যাতে বয়স্ক মা-বাবারা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় মানের খোলোয়াড় তৈরি করতে হলে ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ আলাদা আলাদা ৫টি অনুশীলন মাঠ প্রয়োজন। বিশেষায়িত মাঠ না হলে ক্রীড়াঙ্গনে প্রকৃত সুফল প্রাপ্তি দুরূহ হয়ে উঠবে। জেলা প্রশাসক এই বিশেষায়িত মাঠের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন। আশা করছি খুব দ্রুতই চট্টগ্রাম ফুটবল-হকি ও নারীদের জন্য পৃথক মাঠ পাবে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কিউরেটর দিয়ে প্রাথমিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। এরপর জেলা প্রশাসক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)সহ সংশ্লিষ্ট মহলের সাথে বসে করণীয় ঠিক করা হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাঠ সংরক্ষণের উদ্যোগকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে হবে। আউটার স্টেডিয়াম পরিকল্পিত উপায়ে ব্যবহার করতে হবে।