চট্টবাণী ডেস্ক: কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান (৫১) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
মোস্তাফিজুরের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট সদরের আতাইকাঠী এলাকায়। তার বাবার নাম আব্দুল জব্বার।
র্যাব জানিয়েছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার দিকে মোস্তাফিজুর অজ্ঞাতনামা নারীকে নিয়ে কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা এলাকায় 'সি বার্ড' নামে একটি আবাসিক হোটেল উঠেন। এর পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মোস্তাফিজুর দরজায় তালা লাগিয়ে চলে যান। তবে এদিন সন্ধ্যায় হোটেলের রুম থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। যদিও ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই করে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, সুরতহাল প্রতিবেদন ও মৃত্যুর পর তার শারীরিক লক্ষণ বিবেচনা করে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তাফিজুর জানান, নিহত নারীকে তিনি বিবাহ করেননি। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে যান। এর আগেও কয়েকবার তিনি অন্যান্য নারীকে নিয়েও বিভিন্ন হোটেলে যান। সবশেষ অজ্ঞাতনামা নারীকে নিয়ে হোটেলে ওঠার পর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে হত্যা করেন মোস্তাফিজুর।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, মোস্তাফিজুরের রেকর্ড যাচাই করে জানা যায় তিনি এর আগে পাঁচবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও কক্সবাজারে একাধিক মামলা পাওয়া যায়। এর মধ্যে গত ২০১৮ সালের ২৩ জুন রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা সংক্রান্ত একটি মামলা হয় এবং সে মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সবশেষ গতকাল (শুক্রবার) তাকে গ্রেপ্তারের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।