এস.ডি.জীবন: নাগরিক সেবার মান বাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্মার্ট বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। সোমবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে মত বিনিময় সভায় চসিক মেয়র এ মন্তব্য করেন।
চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়ছেন তা বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশনগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে নিজস্ব আয় দিয়ে ব্যয় নির্বাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্মার্ট হতে হবে। চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই নগরীর ক্রমবর্ধমান জনগণের জন্য সেবার মান বাড়াতে প্রযুক্তিনির্ভর বিনিয়োগে জোর দিচ্ছি। বিশেষ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করে বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরে কাজ করছি। পাশাপাশি কর আদায় প্রক্রিয়াকে ডিজিটালাইজ করার মাধ্যমে কর আদায়ের পরিমাণ বাড়িয়ে চসিককে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছি।
দেশে “একমাত্র চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনই শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। সুশিক্ষা আর সুস্বাস্থ্য অর্জন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এজন্য চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পাবার অধিকার বাস্তবায়নে লড়ছি। বর্তমানে চসিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী পড়ছেন আর চসিক পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গত বছর সাড়ে আট লক্ষ নাগরিক চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।”
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, চসিকের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের বিষয়টি আমার অনেক ভালো লেগেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে চসিক মেয়রের যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তা সত্যিই প্রশংসনীয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অভিজ্ঞতাকে আমি সিলেটের উন্নয়নে কাজে লাগাবো।
এসময় উপিস্থিত ছিলেন চসিক প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ (মঞ্জু), হাসান মুরাদ বিপ্লব,আবদুস সালাম মাসুম, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, তত্ত্ব্বধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী (টিপু), স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।