আব্দুল জলিল,খুলনা অফিস: দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলীয় ঐতিহ্যে বাহি যশোরের শার্শা ঝিকরগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের সাথে সাথে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙের আমের মুকুল। শার্শা-ঝিকরগাছা উপজেলার ও তার আশেপাশে এলাকাগুলোতে ছোট-বড় প্রায় সকল গাছে ঝুলছে থোকা থোকা আমের মুকুল এতে বেড়েছে ভ্রমরের আনাগোনায় মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত শার্শা-ঝিকরগাছা।
শার্শা ঝিকরগাছার ইউনিয়নের গ্রাম অঞ্চল গুলোতে ঘুরে দেখা যায় বাড়ির আঙিনায় পুকুরপাড় বাগানসহ সকল আম গাছে মুকুল ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ছোট-বড় প্রায় সকল গাছ মুকুলে ভরে গেছে স্থানীয় দেশি জাতসহ হিমসাগর, গোবিন্দ ভোগ, অম্রপালি, ফজলি, লতাই, ন্যাংড়াসহ নানা জাতের আমের গাছে এসেছে পর্যাপ্ত মুকুল। মুকুল আসলে অনেকেই গাছে স্প্রে করার জন্য ভ্রাম্যমাণ স্প্রয়ের অপেক্ষায় আছে , কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে স্প্রে করে থাকে।
শার্শা-ঝিকরগাছার বিভিন্ন নার্সারিতে কথা বললে তারা বলেন মুকুল আসার সাথে সাথে মুকুলে সকালে পানি স্প্রে করতে হয় ও হালকা কীটনাশক স্প্রে করা দরকার কুয়াশা বেশি হলে আমের মুকুল পুড়ে যায়। মুকুল থেকে গুটি ধরার পরে গাছে পিপড়া লাগতে পারে পিঁপড়া আমের গুটি ক্ষতিসাধন করে থাকে । তবে এ বছর কুয়াশা কিছুটা কম থাকায় আমের ফলন ভালো ও বেশি হতে পারে ।
এই ব্যাপারে আম চাষী মিজানুর রহমান ও মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা আশা করি এবার আমের বাম্পার ফলন হবে, আমাদের আম দেশের বিভিন্ন শহরে চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।এছাড়া ও অনেক বম চাষিরা আরো বলেন এই বছর মুকুল আসার মুহুর্তে বৃষ্টি না হওয়ায় এ বছর আমের মুকুল তাপে পুড়ে যাওয়ায় সম্ভাবনা আছে। তবে আশা করছি গত বছরের চেয়ে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে।
শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার শ্রী প্রতাপ মন্ডল জানান, এ উপজেলায় ৬শত ৯০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে।অপার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদ হাসান পলাশ ও জানান ঝিকরগাছা উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে।
দুই উপজেলার দুই কৃষি অফিসার তাদের বক্তব্যে বলেন অধিক অংশ্য গাছে আমের মুকুল বেরিয়েছে। আমরা কৃষকদের কুয়াশা ও পোকা-মাকোড় থেকে গুটি রক্ষায় আম চাষী ও বাগান মালিকদের ছত্রাক নাশক প্রয়োগসহ নানারকম বিষয়ে পরামর্শ মুলক ও সচেতনতা বিষয়ে তাদের কে অবহিত করানো হয়েছে।
তবে বাণিজ্যিক ভাবে আমের চাষ শুরু হয়েছে, এখানকার আম দেশের গুন্ডি পেরিয়ে বিদেশও রপ্তানি হবে, এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আম গাছে আগাম মুকুল এসেছে।এবং ভালো ফলনের আশা করা ও যেতে পারে।