খেলাধুলা ডেস্ক: সাফ অ-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। আসরের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ১২-০ গোলে হারিয়েছিল ভারত।
দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে স্টেডিয়ামে দর্শক সমাগম তেমন একটা না থাকলেও ভারতের ম্যাচের পর ধীরে ধীরে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দর্শকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। সমর্থকদের হতাশ করেননি শামসুন্নাহাররা। জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন তারা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বাংলাদেশ। তৃতীয় মিনিটেই নেপালের জালে বল পাঠান সদ্য সমাপ্ত নারী লিগে সর্বোচ্চ ২৫ গোল করা ফরোয়ার্ড আকলিমা খাতুন। মাঝমাঠ থেকে শাহেদা আক্তার রিপার বাড়ানো বলে নেপালের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শুরুতেই স্বাগতিক দর্শকদের আনন্দে ভাসান আকলিমা।
১৩ মিনিটে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়র। মাঝমাঠ থেকে এবার বলের জোগানটা বাড়ান আফিদা খন্দকার। তার শট থেকে বক্সে নেপালি ডিফেন্ডাররের মাথা ছুঁয়ে বল পান শামসুন্নাহার, নেন মাটি কামড়ানো শট। সেই শটে দ্বিতীয়বারের মতো হার মানেন নেপালি গোলরক্ষক কবিতা বিকে।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়া নেপাল খেলায় ফেরে ২৪ মিনিটে। কর্নার থেকে বক্সে বল পান মিডফিল্ডার মনমায়া ডামাই। তার কোনাকুনি নেওয়া শট পোস্টে লেগে হার মানায় বাংলাদেশ গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে। সেই গোলের পর দুঃসংবাদ বাংলাদেশ শিবিরে। প্রথমার্ধের শেষদিকে আহত হোন শামসুন্নাহার। বিরতিতে তার পরিবর্তে মাঠে নামেন আইরিন খাতুন।
দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ এক ফ্রি-কিক থেকে বাংলাদেশকে তৃতীয়বারের মতো প্রায় এগিয়েই দিয়েছিলেন আফিদা খন্দকার। ৫৩ মিনিটে ৩০ গজ দূর থেকে তার ফ্রি-কিক কোনোরকমে ঠেকান নেপালি গোলরক্ষক কবিতা। যোগ করা সময়ে (৯০+৩) বাংলাদেশের হয়ে ব্যবধান বাড়ান শাহেদা (৩-১)। ডি-বক্সের বাইরে ডান প্রান্ত থেকে জোড়ালো শটে গোল করে এই ফরোয়ার্ড।
সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের প্রতি প্রত্যাশার পারদ উঁচুতে উঠেছে সমর্থকদের। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বয়সভিত্তিক এই আসরেও শিরোপায় চোখ বাংলাদেশের সেই লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই করেছে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।