অরুন নাথ: যে মা-বাবা সন্তানের ভাগ্য গড়তে জীবন নি:শেষ করেন সে মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে না পাঠানোর আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার ২ ফেব্রুয়ারী শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী শ্রীমন্দির উদ্বোধনীর ২০তম বার্ষিকী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, সন্তানের জন্য সম্পদ গড়ার চেয়ে সন্তানকে সম্পদ হিসেবে গড়া জরুরি। কারণ সন্তান সুসন্তান না হলে মা-বাবাকে জীবনের সবচেয়ে অসহায় সময়ে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায়। আমি এখানে উপস্থিত সকলকে বলবো বৃদ্ধকালে মা-বাবার সেবা করুন, তাদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবেননা। বৃদ্ধাশ্রম এক নির্মম ঠিকানা। মা-বাবাদের জন্য নরকের চেয়েও যন্ত্রণাকর বৃদ্ধাশ্রম। বৃদ্ধাশ্রম নয়, মা-বাবার আশ্রয় হোক সন্তানের হৃদয়ে।
আর, মা-বাবাদেরও বলব সন্তানকে সবচেয়ে সেরা শিক্ষা দিন, আপনার সন্তান সবচেয়ে সেরা মানুষে পরিণত হবে। আজকের অনুষ্ঠানের উপস্থিত এই শিশুরাই একদিন হয়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কারিগর।
অনুষ্ঠান শেষে মেয়র সেবাশ্রমের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। সেবাশ্রম কর্তৃক শিশুনিকেতন নামে অনাথালয়ে ২৭জন শিশুর ভরনপোষন করায় আশ্রম কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে তারা প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন। সেসময় মেয়র এলাকার শীতার্তদের মাঝে নিজস্ব তহবিল হতে কম্বল বিতরণ করেন।
এছাড়াও এলাকার সবধরণের সেবা কাজে তাঁর সাথে যোগাযোগের আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, মানবিক কাজে সিটি কর্পোরেশন আপনাদের সাথে আছে ভবিষ্যতেও থাকবে।
উৎসব কমিটির সভাপতি নিহার মল্লিকের সভাপতিত্বে অধ্যাপক টিংকু চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুনীল ধর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কাউন্সিলর গাজী মো: শফিউল আজিম, শৈবাল দাস সুমন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফেরদৌস বেগম মুন্নি। বক্তব্য রাখেন-ট্রাস্টি অশেষ পুরোহিত, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিকাশ চৌধুরী, শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম ফতেয়াবাদের তত্ত্বাবধায়ক স্বামী পূর্ণব্রতানন্দ মহারাজ এবং মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ বাসনা রানী মুহুরী, সুভাষ দাশ। আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, বিপ্লব দাশ, প্রাক্তন সহকারী প্রকৌশলী বিবেক কান্তি দাশ প্রমুখ।