চট্টবাণী ডেস্ক: সততা নিয়ে কাজ করলে ব্যর্থতা থাকে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ব্যর্থতা খুঁজে বের করতে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
ফখরুল ইমাম তার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর সফলতার কথা উল্লেখ করে এর পাশাপাশি তার (প্রধানমন্ত্রীর) কোনো ব্যর্থতা আছে কি না জানতে চান।
উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সফলতা কী, ব্যর্থতা কী, তা যাচাই করবে জনগণ। এটি যাচাই আমার দায়িত্ব না। সততা ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণ বিবেচনা করে কাজ করলে ব্যর্থ হব কেন? কোথায় সাফল্য, কোথায় ব্যর্থতা সেটা জনগণই করবে। আমার ব্যর্থতাগুলো আপনিই খুঁজে বের করে দিন, আমি সংশোধন করে নেব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি স্কুল থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কলেজেও রাজনীতি করেছি। ভিপি ছিলাম। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সদস্য হিসাবে কাজ করেছি। রাজনীতি আমাদের পারিবারিক; একেবারে রক্তেই আছে। কিন্তু কখনো এত বড় দায়িত্ব নিতে হবে ভাবিনি। ওই ধরণের কোন আকাঙ্ক্ষাও ছিল না। এমনকি কখনো এই ধরনের দাবিও করিনি।
তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে যখন যে কাজ দিয়েছে, সেই কাজই করে গেছি, চেষ্টা করেছি। ১৯৮০ সালে যখন লন্ডনে গেলাম, সেখানে আওয়ামী লীগ সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছি। ১৯৮১ সালে আমাকে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, দেশে ফিরে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, কোনটা সফল হওয়া, কোনটা বিফল হওয়া, সেটা না, সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে হবে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। সারা বাংলাদেশ ঘুরেছি। বাংলাদেশকে চিনেছি, জেনেছি। সরকার গঠনের পর তৃণমূলের মানুষ যাতে ভালো থাকে সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়েই কাজ করেছি। তার সুফল এখন জনগণ পাচ্ছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশে যে আমূল পরিবর্তন, সেটা আমরা বয়োবৃদ্ধ যারা আছি তারা জানি। কিন্তু আজকের প্রজন্ম জানবে না। সাফল্য-ব্যর্থতা সেটা জনগণই বিচার করবে।