চট্টবাণী: নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, মির্জা রকিবুল হুদা সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। স্বৈরশাসক জিয়া রকিবুল হুদাকে সিএমপির কমিশনার নিযুক্ত করেছিলেন।
তাই খুনি রকিবুল হুদা মেজর জিয়ার সৃষ্টি এবং তিনি এদেশে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের বীজবপন করেছিলেন।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পুরাতন বাংলাদেশ ব্যাংক সামনের চত্বরে গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আজ থেকে ৩৫ বছর আগে এই দিনে চট্টগ্রাম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে। ওই দিন শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টায় তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদের প্রত্যক্ষ ইন্দনে সিএমপির তৎকালীন কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদার নির্দেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয় এবং ঐ দিনই সামরিক স্বৈরসরকারের বিদায় ঘণ্টা চট্টগ্রাম থেকে বেজে উঠেছিল। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারের পতন হলেও তাদেরই বংশধররা এখনো নানামুখী ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের ওপর বার বার আঘাত এসেছে। এএসএম কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, আইভি রহমানসহ শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এসবের কোনো বিচার হয়নি। বিচার হলেও শাস্তি কার্যকর হয়নি। খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত আসামি এবং তার ছেলে তারেক রহমান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। সেই তারেক রহমান লন্ডনে বসে সরকার উৎখাত আন্দোলনে কলকাঠি নাড়ছে।
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, যদি কোনো দলে একটি মাত্র সিংহ থাকে তাহলে তার বিজয় সুনিশ্চিত। আওয়ামী লীগের দলে আছে একজন সিংহ। তিনি শেখ হাসিনা। তাই আওয়ামী লীগকে কেউ ধাক্কা দিতে পারবে না, বিজয় রুখতে পারবে না এবং আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত।
নগর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এম জহিরুল আলম দোভাষ, উপদেষ্টা সফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজি মোহাম্মদ হোসেন, জহুর আহমদ, জোবাইরা নার্গিস খান, আব্দুল আহাদ, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, পেয়ার মোহাম্মদ, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মো. জাবেদ, ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, বেলাল আহমদ প্রমুখ।
সভা শেষে চট্টগ্রাম গণহত্যা শহীদ স্মারক বেধিতে নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। সভার শুরুতে চট্টগ্রাম গণহত্যার শহীদদের সম্মানার্থে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।