চট্টবাণী: বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সংগ্রামে শহীদ আসাদের গৌরবময় আত্মত্যাগের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে প্রেরণার অফুরান উৎস হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে নগরের দোস্তবিল্ডিং কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম বৃহত্তর চট্টগ্রামের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।সংগঠনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা করেন সহ সভাপতি আবদুল মালেক খান, রঞ্জন দাশগুপ্ত, নগর সভাপতি রাজীব চন্দ, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য নবী হোসেন সালাউদ্দিন, সোহেল ইকবাল, এমএ হাসান চৌধুরী, ইমরান হোসেন, আবদুর রহিম, এসএম রাফি, আবদুল খালেক, ইকবাল হোসেন, মিশু সেন, সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, পাকিস্তানি স্বৈরশাহীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনে ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে শহীদ আসাদুজ্জামানের মৃত্যুর পর তিন দিনের শোক পালন শেষে ২৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফার ভিত্তিতে রাজপথে বাংলার মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ারে সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থান। যার অনিবার্য পরিণতিতে পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ডাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আসে বাঙালির স্বাধীনতা।
তিনি সুদীর্ঘকালের রক্তঝরা আন্দোলন সংগ্রামে বাঙালির অপরিসীম ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতা নিয়ে তথাকথিত রাজনীতিকদের ‘বাইচান্স স্বাধীনতা’প্রাপ্তি বলে কটাক্ষ করাকে অমার্জনীয় অপরাধ উল্লেখ করে অবিলম্বে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।