নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর বলেছিলাম নগরবাসির উপর অতিরিক্ত গৃহকরের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে না। বিগত ২০১৭ সালে নিয়মানুযায়ী পঞ্চবার্ষিকী গৃহকর পুন: মূল্যায়ন করা হয়। সে সময়ে আমি মেয়রের দায়িত্বে ছিলাম না। নগরবাসির আন্দোলনের ফলে ২০১৭ সালে গৃহকর মূল্যায়ন বাস্তবায়ন স্থগিত করা হয়। আমি দায়িত্ব গ্রহনের প্রায় দেড় বছর পর সরকার গৃহকরের উপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যহার করে নেন। এর ফলে ২০১৭ সালের গৃহকর পূন: মূল্যায়ন কার্যকর করতে গিয়ে ব্যাপক অসংগতি প্রত্যক্ষ করি।
তাই সম্মানিত করদাতাদের বিভ্রান্তি ও অসন্তোষ দূর করার জন্য আমি আপিল বোর্ড গঠন করি এবং পরবর্তীতে নিজে উপস্থিত থেকে গনশুনানির উদ্যোগ নিই। এতে করদাতারা সন্তুষ্ট হচ্ছে এবং বিভ্রান্তিও দূর হচ্ছে।
তিনি গৃহকর নিয়ে নগরবাসিকে আতংতিক না হয়ে আপিল করে গনশুনানিতে অংশগ্রহণ করার জন্য নগরবাসির প্রতি আহবান জানান।
রবিবার সকালে নগরীর ২নং গেইটস্থ চট্টগ্রাম শপিং কমপ্লেক্স রাজস্ব সার্কেল এক এর আওতাধীন ওয়ার্ড নম্বর ২, ৭ ও ৮ এর গনশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি একথা বলেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্যে রাখেন রিভিউ বোর্ডের প্রধান কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, মো. মোবারক আলী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জেসমীন পারভিন জেসী, রিভিউ বোর্ড সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবদুল রশিদ, এডভোকেট মো.আমির খসরু চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরিজ, কর কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহম্মদ সরোয়ার চৌধুরী প্রমুখ।
মেয়র আরা বলেন, সিটি কর্পোরেশন একটি সেবামুলক প্রতিষ্ঠান। নগরবাসির গৃহকর থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব দিয়ে নাগরিক সেবা প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, কোন কর বাড়ানো হয়নি শুধুমাত্র করের আওতা বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ কোন স্থাপনা বৃদ্ধি করা হলে সেই বর্ধিত অংশের কর নির্ধারণ করে পূর্বের করের সাথে সংযোজন করা হয়।
মেয়র বলেন, একটি মহল গৃহকর নিয়ে করদাতাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছাড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের বিভ্রান্তিতে কর্নপাত না করে কর পুন: মূল্যালয়নে আপিল বোর্ডে উপস্থিত হয়ে সহনীয় পর্যায়ে কর নির্ধারণে চুড়ান্ত করণে অংশ নিতে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান এবং কর দাতারা কোন ধরণে হয়রানির শিকার যাতে না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।
গনশুনানিতে ২৫০ জনকে নোটিশ প্রদান করা হলে ২৩২ জন গনশুনানিতে অংশ গ্রহণ করে চুড়ান্ত মূল্যায়নের উপর সন্তুষ্ট হন।