চট্টবাণী: জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, আমি চট্টগ্রামে নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। এ শহরের প্রতি আমার আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে।কারণ আমার পড়ালেখা এ শহরেই। আমি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করতে চাই।এখানে এ দুটি বিষয়ে কাজ করার বিরাট সুযোগ রয়েছে।
শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর বিকেলে এশিয়ান স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এশিয়ান গ্রুপ স্পোর্টস লীগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, এখান থেকে যদি একজন ভালো খেলোয়াড় তৈরি হয় সে দেশকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করবে। আমি ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা চট্টগ্রামের খেলা নিয়ে আলাদাভাবে ভাবতে চাই। প্রতিটি খেলার জন্য আলাদা মাঠ তৈরি করতে চাই। হকি খেলার জন্য হকি মাঠ, ফুটবলের জন্য ফুটবল মাঠ তৈরি করতে হবে। প্রতিটি কর্পোরেট হাউস যদি একেকটি খেলাকে সহযোগিতা করে তাহলে সবকটি খেলার ভালো আয়োজন করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম শুধু ব্যবসা বাণিজ্যের দিক দিয়ে নেতৃত্ব দেয়নি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। একসময় বাংলাদেশের ক্রিকেটে চট্টগ্রামের অনেক স্বনামধন্য ক্রিকেটার অবদান রেখেছেন। তামিম ইকবালের মতো খেলোয়াড়ের জম্ম চট্টগ্রামে। অনেক গুনীজনের জন্ম হয়েছে চট্টগ্রামে। দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে শুধু সরকারই কাজ করবে তা নয়, ব্যক্তি উদ্যোগেও ক্রীড়ার উন্নয়ন করা জরুরি। চট্টগ্রামে যদি এমন গুরুত্ব দেওয়া যায় সেটি এ এলাকার ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য ভালো এবং দেশের জন্যও ভালো।
এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সালাম বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের মতো বড় গ্রুপগুলো ঢাকায় খেলাধুলাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন খেলার আয়োজন করছে। কিন্তু চট্টগ্রামে এ সুযোগ খুব কম। তাই আমার ছেলেরা চট্টগ্রামে খেলাধুলার চর্চার জন্য এ রকম একটা আয়োজন করেছে। এটাতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। সুস্থ থাকতে শরীর চর্চার কোনও বিকল্প নেই। সুস্থ দেহ, সুস্থ মন ও মানসিকতা তৈরি করতে খেলাধুলা খুব জরুরী।
বিশেষ অতিথি চেম্বার অব কর্মাসের সহ সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, খেলাধুলাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই আমাদের এ আয়োজন। যেখানে চাকুরীজীবীরাও শরীরচর্চার সুযোগ পাবেন। আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গঠতে খেলাধুলার বিকল্প নেই।
প্রসঙ্গত, এ লীগে ১৬টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের দল অংশগ্রহণ করছে।