চট্টবাণী ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব উন্নয়ন কাজ করেছে এবং করছে। জনগণের সঙ্গে কোনো ছলচাতুরী করেনি। জাতির সঙ্গে ছলচাতুরী করেছে বিএনপি।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বের) বেলা ১১টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ২২তম সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জনগণের সঙ্গে ছলচাতুরী কী করলাম? জনগণকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আমরা কথা দিয়েছি, কথা রেখেছি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছিলাম পদ্মা সেতু করব। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করতে গেলেন। বিশ্বব্যাংক অপবাদ দিয়ে চলে গেল। নেত্রী ঘোষণা দিলেন, আমাদের নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করব। তখন অনেকে উপহাস-কটাক্ষ করেছিল। কিন্তু তিনি সেই সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। মেট্রো রেল করব বলেছি, ২৮ তারিখ প্রথম অংশের উদ্বোধন। বলেছি রাস্তাঘাট করব, একশ নতুন রাস্তা, একদিনে একশ সেতুর উদ্বোধন করেছি। ছলচাতুরী কোথায় করলাম? টানেল করব বলেছি, বঙ্গবন্ধু টানেল আমরা করেছি। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই দেশে আওয়ামী লীগই প্রথম সরকার যে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। ৭৫ পরবর্তীকালে শান্তিপূর্ণভাবে এদেশে আর কেউ ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি।
তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্রের নামে ভোট চুরি, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার। ওয়ান-ইলেভেন কি এমনি এমনি এসেছে? জাতির সঙ্গে ছলচাতুরী বিএনপি করেছে। সবই বিএনপি করেছে। আমরা করিনি।
লোডশেডিং হওয়ার কথা থাকলেও হচ্ছে না উল্লেখ করে কাদের বলেন, এই যে একটা বিশ্বকাপ, বিকেল চারটা, রাত ৯টা, রাত একটায়। একদিনে চারটা করে খেলা। সব শেষ। আজ তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। আগামীকাল ফাইনাল। এই পর্যন্ত কোথাও কি লোডশেডিং হয়েছে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭১-এর যে সংকট সেটি একরকম, আজকের আমাদের সংকট আরেক রকম। তখন আমাদের জনসংখ্যা ছিল কম, তারপরও সমাজ ছিল ঐক্যবদ্ধ। এখন জনসংখ্যা বেশি, আমাদের আয়ও অনেক বেড়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেন। ক্রাইসিস থেকে অপরচুনিটি সৃষ্টি করেন। বিএনপির আমলে বিশ্বকাপের খেলায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও গোলমাল। বিদুৎ অফিস ভাঙচুর, নিত্য দিনের ঘটনা ছিল। বিদ্যুৎতের দাবিতে মিছিল করলে মানুষকে গুলি করে, সারের দাবিতে কৃষকদের ওপর গুলি, এসব তো দেখলাম। মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের ওপর। তারাই জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। গণতন্ত্র তারাই গিলে খেয়েছে। গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গিয়ে আমরা একটা বিকাশমান প্রক্রিয়ায় আছি। গণতন্ত্র আমাদের দেশে ২১ বছর ছিল না। ২১ বছর মানবাধিকারও আমাদের ছিল না।
আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ কমিটির আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা।