প্রতিনিধি ৪ ডিসেম্বর ২০২২ , ৮:১৬:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
খেলাধুলা ডেস্ক: ১৮৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ১৩৬ রানেই ৯ উইকেট নেই বাংলাদেশের। উইকেটে ব্যাটার বলতে ১১ নম্বরে নামা মুস্তাফিজুর রহমান আর মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরপুরের পরিপূর্ণ গ্যালারি তখন একদম নিশ্চুপ। জেতার আশা একদম ছেড়েই দিয়েছিলেন মাঠে থাকা দর্শকদের অনেকে। ম্যাচের এমন এক পরিস্থিতিতে নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মিরাজ। খেলেন ৪১ রানের চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস। আর তাতে রোহিত-কোহলিদের হতাশায় ডুবিয়ে নাটকীয় এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে রোববার ভারতের হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মিরাজের বীরত্বে এক উইকেটে জিতেছে লিটন দাসের দল।
অনেক দিন পর খেলা গড়ানো মিরপুরের উইকেট আজ বেশ স্লো ছিল। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলতে পারে মোটে ১৮৬ রান। অবশ্য তারা ৫০ ওভার পুরোটা খেলতে পারেনি। সাকিব আল হাসানের ঘুর্ণিতে তারা আলআউট হয়ে যায় ৪১ ওভার ২ বলেই। সাকিব নেন ৫ উইকেট।
জবাবে বাংলাদেশের শুরুটাও ততটা ভালো হয়নি। প্রথম বলেই আউট হয়ে যান ওপেনার শান্ত। এরপর বিজয় ও লিটন ছোট করে জুটি বাঁধেন। ১০ম ওভারে বিদায় নেন বিজয়।
বিজয়ের বিদায়ের পর লিটন-সাকিব ভালো জুটি গড়ে তোলেন। ৪১ রান করে লিটন আর ২৯ রান করে সাকিব আউট হলে কিছুটা বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৯৫ রানে হারায় ৪ উইকেট।
১২৭ রান পর্যন্ত ঠিকই ছিল মোটামুটি। জয়ের দিকে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ১২৮ থেকে ১৩৬ রানের মধ্যে ৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বগতিকরা। ফলে ১৩৬ রানের মাথায় ৯ উইকেট হারিয়ে তখন কেবল হারের অপেক্ষা।
এর পরই মূলত শুরু হয় লড়াই। মেহেদি মিরাজের এক হাতের লড়াই। অপর প্রান্তে শেষ ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজ। জয়ের কোনো আশা নেই। কিন্তু মিরাজ শুরু করেন চার ছয়ের মার। পরপর ২টা ছয় মেরে লড়াই জমিয়ে তোলেন। এতে কিছুটা দিশা হারায় ভারতীয় বোলিং। চাপের মুখে মিরাজের একটা ক্যাচ মিস করে তারা।
মিরাজের এই অসম লড়াইয়ে দারুণ সঙ্গ দেন মুস্তাফিজও। বেশ কয়েকটি বল ঠেকান তিনি। মারেন একটি চারও।
শেষ দিকে এসে মিরাজের পাহাড়সম দৃঢ়তায় ম্যাচ বের করে নেয় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য যখন আর ১ রান দরকার তখন ভারতীয়রা সব ফিল্ডার সামনে নিয়ে এসেছিল। কিন্ত সবার ফাঁক গলে বাউন্ডারি মেরে জয় নিশ্চিত করেন মিরাজ।
অসাধারণ, রুদ্ধশ্বাস আর নাটকীয় এক জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচের সিরিজে গেল ১-০তে এগিয়ে।