চট্টবাণী: বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে বিএনপি এখন ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ নামে নতুন স্লোগান দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’মানে হলো, দেশ আবার বাংলাভাই, শাইখ আবদুর রহমানের জমানায় নিয়ে যাও। আবার হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবন সৃষ্টি কর, পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফোটাও, দুর্নীতিতে দেশকে আবার পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানাও। তাদের স্লোগান অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে পারি না।
জনসভার মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে আওয়ামী লীগ কি বার্তা দিতে চায় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যেহেতু জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি, জনগণের সামনে হাজির হওয়া আমাদের দায়িত্ব। দেশ আগে কোথায় ছিল, এখন কোথায় গেছে, আমরা জনগণের জন্য কি করেছি, দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে যেতে চাই - এগুলো জনগণের সামনে উপস্থাপন করা জনগণের দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী, তিনি সেই কথাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরবেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। তাদের হাতে দেশটা তুলে দিতে পারি না। সেটাও আমরা জনগণের সামনে ব্যাখ্যা দেব।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে উপলক্ষ করে চট্টগ্রাম জুড়ে ব্যাপক সাড়া জেগেছে, মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। আশাকরছি পলোগ্রাউন্ডে আমাদের জনসভায় মাঠ পূর্ণ করে মাঠের বাইরে আরও আট-দশগুণ মানুষ হবে।
নয়াপল্টনে সভা করতে চাওয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপির মহাসচিব গতকালও বলেছেন নয়াপল্টনের সামনেই তাদের জনসভা হবে। আসলে ওদের উদ্দেশ্য জনসভা করা নয়, দেশে একটা গণ্ডগোল লাগানো এবং দেশকে অস্থিতিশীল করা। তাদের আবেদন অনুযায়ী ও তাদের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে না গিয়ে নয়াপল্টনে জনসভা হবে এটি বারবার ঘোষণা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে দেশে একটি গণ্ডগোল লাগানোর, উদ্দেশ্যেই তারা এটি বলছে। সরকার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য কাউকে অনুমতি ও লাইসেন্স দিতে পারে না। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে, আমরা সেটি হতে দিব না।
এসময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহম্মদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।