চট্টবাণী: নগরে ডেঙ্গু যেন আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শুধু মাত্র চলতি মাসের প্রথম দশ দিনে ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৮ জন।এর মধ্যে ৪ জনই রয়েছে শিশু।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের গত ২ নভেম্বর ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৫০ বছর বয়সী আবুল কালাম নামে এক ব্যাক্তি। পরের দিন ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মারা যান ১৩ বছরে বয়সী শিশু তৌহিদ। এর একদিন পর ৫ নভেম্বর মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বর্ণ নামে ১১ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়। এর পর ৬ নভেম্বর চমেক হাসপাতালে মো রকিব নামে ২৬ বছর বয়সী এক যুবক, একই দিন পার্কভিউ হাসপাতালে আয়েশা সেলিম নামে ৪৫ বছর বয়সী নারী মারা যান। পরে ৮ নভেম্বর মা ও শিশু হাসপাতালে আর্য দত্ত নামে ৭ বছর বয়সী শিশু, ৯ নভেম্বর একই হাসপাতালে জ্ঞানেন্দ্র নাথ মিত্র নামে ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ এবং একই দিন চমেক হাসপাতালে আবিদ নামে ৬ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়।
এখন পর্যন্ত চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসে প্রথম ১০ দিনে ৮ জন ছাড়াও অক্টোবর মাসে ১২ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়। মোট মৃত্যুবরণ করা ২৩ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৮ জন নারী এবং ৯ শিশু রয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০৬ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩৫ জন এবং অন্যান্য হাসপাতালে ৭১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নগরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলেছেন, জ্বর হলে অবহেলা করে ঘরে বসে থাকা কিংবা সময় মত চিকিৎসকের পরামর্শ না নেওয়ায় ডেঙ্গুর জটিলতা বাড়ছে। তাই ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিলেন তাঁরা।
সিভিল সার্জন ডা ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম চলছে। আমরা চেষ্টা করছি মানুষকে সচেতন করার। কিন্তু আমাদের যত চেষ্টা থাককু ব্যক্তিগতভাবে মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।