আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যে ওয়াজিরাবাদ শহরে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, সেখান থেকেই ফের লংমার্চ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রোববার লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি— ওয়াজিরাবাদের যে স্থানে আমিসহ দলের ১১ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, সেখান থেকেই আগামী মঙ্গলবার থেকে পিটিআইয়ের লংমার্চ শুরু হবে।’
তবে এবার লংমার্চের রুটে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে বলে আভাস পাওয়া গেল ইমরান খানের বক্তব্যে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়াজিরাবাদ শহর থেকে রাওয়ালপিন্ডি শহর হয়ে রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছাবে পিটিআইয়ের লংমার্চ।
সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, ‘আমি এখান (লাহোর) থেকে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ রাখব। আগামী ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে নেতা-কর্মীরা রাওয়ালপিন্ডি পৌঁছাবেন। আমি সেখান থেকে তাদের সঙ্গে যোগ দেব।’
ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআইয়ের জেষ্ঠ্য নেতা হাম্মাদ আজহার অবশ্য আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, শিগগিরই রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করতে যাচ্ছেন দলের চেয়ারম্যান।
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান ২০১৮ সালে ভোটে জিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। দেশটির রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারকারী সেনাবাহিনীর সমর্থন তখন তার দিকে থাকলেও কিছু দিন পর তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।
সেনা সমর্থন হারানো ইমরানের বিরুদ্ধে এই বছরের শুরুতে জোট বেঁধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে দেশটির বড় দুই রাজনৈতিক দল। তাতে হেরে গত এপ্রিলে ইমরানের সরকারের পতন ঘটলে প্রধানমন্ত্রী হন মুসলিম লীগের শেহবাজ শরিফ, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই।
ক্ষমতা হারানো ইমরান নতুন নির্বাচনের দাবি তুলে পাকিস্তানে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ লংমার্চের ডাক দেন। গত ২৮ অক্টোবর লাহোর থেকে শুরু হয় এই কর্মসূচি।
৪ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল এই লংমার্চ; তার এক দিন আগে, ৩ নভেম্বর ওয়াজিরাবাদ শহরে সমাবেশ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন ইমরান। তারপর থেকেই শওকত খানম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
সূত্র : ডন, দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন