চট্টবাণী: বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে যুব সমাজের কোনো বিকল্প নেই। বার্ধক্যে উপনীত হয়ে কোনো কিছু করা যায়না।
যে কোনো দেশ বা সভ্যতা বিনির্মানের পেছনে যুব সমাজই অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত জাতীয় যুব দিবসের র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যুব সমাজ উন্নয়নের প্রাণ শক্তি। তাদেরকে আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী করতে সরকার দেশের ৬৫ জেলায় যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে আত্মকর্মসংস্থানমূলক কর্মসূচী চলমান রয়েছে। তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে পারবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, বর্তমানে মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বেড়েছে শিক্ষার হার, মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু, বিদ্যুৎ উৎপাদন, হ্রাস পেয়েছে মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার। দেশে প্রত্যেকটি উন্নয়ন সূচক দৃশ্যমান। সরকারের আন্তরিকতা ও নিরলস প্রচেষ্টায় আমাদের যুব সমাজ আজ পিছিয়ে নেই। বেকার যুব সমাজকে আত্মকর্মমুখী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার সারাদেশে বিভিন্ন ট্রেডভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, যুব সমাজকে কাজে লাগাতে না পারলে উন্নতসমৃদ্ধ দেশ গড়তে পারবোনা। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মদক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে যুবরা স্বাবলম্বী হলে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা (কোতোয়ালী) মো. জাহান উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রজেষ কুমার সাহা।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘প্রশিক্ষিত যুব, উন্নত দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নগরের পাঁচলাইশে হামজারবাগ এলাকার ‘পড়ালেখা’সংস্থার সভাপতি আবদুর রহমান মিন্টুসহ আরও কয়েকজনকে সফল যুব সংগঠক ও সফল আত্মকর্মী হিসেবে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। একই সাথে যুব ঋণের চেক বিতরণ করা হয়।