খেলাধুলা ডেস্ক: চলতি বছরের নভেম্বরে কাতারে গড়াবে ফুটবল বিশ্বকাপ। হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বকাপ দেখতে প্রায় ১.২ মিলিয়ন মানুষ যাবে মরুর দেশটিতে। অতিথিদের নিরাপত্তা দিতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে আয়োজক দেশটি। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে কয়েকটি বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিও সেরে ফেলেছে কাতার।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা তা দেখতে মহড়াও চালিয়েছে আয়োজক দেশটি। সেখানে ছিল কাতারসহ ১৪টি দেশের নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় দৈনিক দ্য পেনিনসুলার মতে, পাঁচ দিনের নিরাপত্তা মহড়াটি মূলত জরুরী পরিষেবাগুলির প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়াশীলতা পরীক্ষা করার জন্য চালানো হয়েছে।
কাতার এ মহড়ার নাম দিয়েছে ওয়াতান। টুর্নামেন্টের নিরাপত্তা কমিটির মতে, ওয়াতানে ৩২ হাজার সরকারি নিরাপত্তা কর্মীর পাশাপাশি ছিল ১৭ হাজার বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীও। টুর্নামেন্টে নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে নিরাপত্তাকর্মী আনছে কাতার।
আগে থেকেই তুরস্ক ঘোষনা দিয়ে রেখেছে, স্টেডিয়াম এবং হোটেলগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে কাতারে তিন হাজারের বেশি পুলিশ পাঠাবে দেশটি। এছাড়া ১০০ জন বিশেষ অপারেশন পুলিশ অফিসার, ৫০ জন বোমা বিশেষজ্ঞ এবং ৪০টি স্নিফার কুকুর পাঠাবে তারা।
নিরাপদ বিশ্বকাপ আয়োজনে দোহাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য এবং পাকিস্তান। পাকিস্তানের সরকারি রেডিওর দেওয়া তথ্যমতে, চলতি মাসের শুরুতে তাদের সেনারা দোহায় পৌঁছেছে। মরক্কোর সংবাদ আউটলেটলোর তথ্যমতে, টুর্নামেন্ট চলাকালে কাতারে তাদের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মোতায়েন করবে দেশটি।
টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা ঠিক রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে কাতারের। এছাড়া ফ্রান্সের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফরাসি পার্লামেন্ট কাতারে ২২০ জন সৈন্য মোতায়েনের ঘোষনা দিয়েছে।
বিশ্বকাপ যত ঘনিয়ে আসছে কাতারের রাস্তায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বকাপের আটটি স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে দেশটিতে।