প্রতিনিধি ২২ অক্টোবর ২০২২ , ৯:১৬:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক: ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ সম্পর্কে বিশ্ব গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সঠিক প্রচারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ইসলামের মূলমন্ত্র যে শান্তি এবং ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসবাদ যে ইসলাম সমর্থন করে না তা বিশ্বজনের কাছে তুলে ধরতে ওআইসি ও তার সদস্য দেশগুলো বহুমুখী পদক্ষেপ নিতে পারে।
তুরস্কের ইস্তানবুলে শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের দ্বাদশ সম্মেলন ইসলামিক কনফারেন্স অব ইনফরমেশন মিনিস্টার্স (আইসিআইএম) এ বাংলাদেশের পক্ষে তার বক্তৃতায় মন্ত্রী এ মত ব্যক্ত করেন।
তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের (ডিরেক্টরেট অব কমিউনিকেশন্স) প্রেসিডেন্ট ফাহরেতিন আলতুনের সভাপতিত্বে ওআইসি মহাসচিব হুসেইন ব্রাহিম তাহা এবং সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীরা ‘তথ্যবিকৃতি ও ইসলামভীতি প্রশমন’ (কমব্যাটিং ডিজইনফরমেশন অ্যান্ড ইসলামোফোবিয়া) প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
ওআইসির সামনে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা ও জঙ্গিবাদ দমনের উদাহরণ তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশে যেমন শান্তিপূর্ণভাবে সবার নিজ নিজ ধর্মপালনের পরিবেশ বজায় রয়েছে তেমনি ধর্মকে কেউ যাতে জঙ্গিবাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে শূন্যসহিষ্ণুতার নীতি নিয়েছে সরকার।
ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও মানবতার খাতিরে ১১ লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাকে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে। করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী মন্দার ভেতরেও রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। এটি নিয়ে অনেক সময় বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়ে থাকে। কিন্তু আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান এবং তা যত দ্রুত হয়, ততই সবার জন্য মঙ্গল।